কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বন্দরের শ্রম শাখায় তালিকাভুক্তির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ক্রেনচালকেরা। এ সময়ে দাবি মানা না হলে ৭ অক্টোবর সকাল আটটা থেকে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছেন জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোয় নিয়োজিত ক্রেনচালকেরা।
বেসরকারি সংস্থার অধীনে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োজিত জাহাজের ক্রেনচালকেরা উইন্সম্যান সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মতিন।
বন্দরে জেনারেল কার্গো বার্থ জিসিবির ১২টি এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দুটি জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করেন ক্রেনচালকেরা। এ ছাড়া বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে ক্রেনের সাহায্যে পণ্য খালাস করেন ক্রেনচালকেরা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতা দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল মতিন বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে ডকশ্রমিকসহ চার ক্যাটাগরির শ্রমিকেরা নির্ধারিত মজুরিসহ ঝুঁকিভাতা, চিকিৎসাভাতা, গ্র্যাচুইটিসহ নানা কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। অথচ ক্রেনচালকদের শ্রম শাখায় তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ফলে সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছি না আমরা।’ কর্মক্ষেত্রে এ বৈষম্য দূর করার দাবি জানান তিনি।
ক্রেনচালকেরা জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্য শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে দিয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেই চুক্তি অনুসারে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।