দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় তাঁকে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা আজ সোমবার বিকেলে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এরপর বিশিষ্ট নাগরিক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার সবার প্রাপ্য, বিশেষ করে যারা আমাদের ভোট দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে। যে সম্মান ও মর্যাদা আমরা দেশের জন্য এনেছি, তা যেন অব্যাহত থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান। কারণ, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) যখন ২০০০ সালে শুরু করা হয়, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী। এখনো আমি প্রধানমন্ত্রী। এমডিজির আটটি লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের আগেই আমরা এর কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি।’ তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০২০ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর পুরস্কার নিয়ে আসি। আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাউথ সাউথ এবং খাদ্যনিরাপত্তার জন্যও পুরস্কার নিয়ে এসেছি। দারিদ্র্যের হার শতকরা ৫৬ থেকে ২৬ ভাগের নিচে নিয়ে এসেছি। বিশ্বমন্দার জন্য যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে পেরেছি। বিশ্বের নানা দেশে যখন আমরা যাই, সবাই এ জন্য আমাদের প্রশংসা করে।’ তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যা অর্জন করেছি, তা যেন ধরে রাখতে পারি।’ এ জন্য সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্র্য, বোমা, সন্ত্রাস ও হানাহানিতে নিমজ্জিত ছিল। অথচ ২০০১ সালে যখন আমরা তাদের কাছে (বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট) ক্ষমতা রেখে আসি, তখন এগুলো ছিল না।’ সংবর্ধনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দর এলাকায় বিপুল লোকসমাগম করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।