পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রতিষ্ঠাতা এম এন লারমা শুধু পাহাড়িদের অধিকারের কথা বলেননি। তিনি নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। তাদের কথা বলেছেন। তরুণ প্রজন্মকে এম এন লারমার জীবনী পাঠ করতে হবে।
এম এন লারমার ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তরা। আজ বৃহস্পতিবার ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার চেতনায় উজ্জীবিত নব প্রজন্ম’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আইপিনিউজের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর ছিল এম এন লারমার ৮২তম জন্মবার্ষিকী। এম এন লারমা ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন রাঙামাটিতে। ১৯৮৩ সালে তিনি নিহত হন। তাঁর প্রতিষ্ঠিতি দল পিসিজেএসএস ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করে।
আজ আলোচনার শুরুতে এম এন লারমার জীবনী পাঠ করেন আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য মেইনথিন প্রমীলা।
আলোচনা অংশ নিয়ে সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, এম এন লারমা শুধু জুম্ম জনগোষ্ঠীর নেতা নন, তিনি নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন। জাতির সামনে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তাঁকে তুলে ধরতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশীষ কুন্ডু বলেন, এম এন লারমার চিন্তার বহুত্ববাদ ছিল। এ জন্যই তিনি অনন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্নিগ্ধা রিজওয়ানা বলেন, ‘এম এন লারমা আমাদের শক্তি দেন, আমাদের অনুপ্রেরণা দেন। তাঁকে সত্যিকার অর্থে পাঠ করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তাঁর জীবনী পাঠ করতে হবে।’
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান বলেন, এম এন লারমার বর্ণাঢ্য সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম প্রায় জানেই না। তাঁকে নতুন প্রজন্মের সামনে নিয়ে যেতে হবে।
পরিবেশ বার্তার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। আরও বক্তব্য দেন আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা।