এত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পরও মাদক ব্যবসা কমেনি

■ কক্সবাজারে সাড়ে তিন বছরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ২৯৯ জন। আত্মসমর্পণ করেন ১২৩ জন।

■ পাঁচ বছরে ইয়াবা উদ্ধার ৭ কোটি ৮৫ লাখ।

■ নতুন যুক্ত হয়েছে আইস, ১১ মাসে উদ্ধার ২৬১ কোটি টাকার।

■ আত্মসমর্পণ করা সব মাদক কারবারি জামিনে। চারজন হয়েছেন জনপ্রতিনিধি।

বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

চার বছর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী মাদকবিরোধী যে বিশেষ অভিযান শুরু করেছিল, তার কেন্দ্রে ছিল কক্সবাজার। ওই বিশেষ অভিযান শুরুর পর এই জেলায় গত সাড়ে তিন বছরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ২৯৯ জন। আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন ১২৩ জন মাদক কারবারি। তারপরও জেলাটিতে মাদকের ব্যবসা থামেনি, বরং ইয়াবার পাশাপাশি এখন আরও ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথেরও প্রধান প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এই জেলা। সেখান থেকে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।

সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয় ২০১৮ সালের ৪ মে। অভিযানের স্লোগান ছিল ‘চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’। এই অভিযানের সময় একের পর এক সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল কক্সবাজারে।

সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার মাদক উদ্ধারের যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কক্সবাজার হয়ে দেশে ইয়াবা চোরাচালান কমেনি। উল্টো বছর বছর বেড়েছে। যেমন বিশেষ অভিযান শুরুর আগের বছর ২০১৭ সালে কক্সবাজারে প্রায় ৮৬ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৮ সালে উদ্ধার করা হয় ১ কোটি ২৮ লাখ ইয়াবা বড়ি। এরপর থেকে প্রতিবছর এই সংখ্যা শুধু বেড়েছে। সর্বশেষ গত বছর উদ্ধার হয় আড়াই কোটির বেশি ইয়াবা।

মাদক চোরাচালান রোধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রম তদারকি জোরদার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ইন্টারপোল এবং জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
এম ইমদাদুল হক, মাদকনিয়ন্ত্রণবিষয়ক গবেষক ও অধ্যাপক, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
বন্দুকযুদ্ধ
প্রতীকী ছবি

সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে ৭ কোটি ৮৫ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। আর গত জানুয়ারি মাসে আটক হয় প্রায় ৩৫ লাখ ইয়াবা।

কক্সবাজারের মাদক কারবারে গত বছর থেকে ইয়াবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইস। ২০২১ সালের ৩ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ মাসে ৩২টি চালানে ২৬১ কোটি টাকার আইস উদ্ধার হয়। একই সময়ে মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ও মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। ২০১৭ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয় ১০ হাজার ৪৭৮টি। গ্রেপ্তার হন ১৪ হাজার ১৭৩ জন।

জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউএনওডিসির মতে, যত মাদক বিক্রি হয়, ধরা পড়ে তার মাত্র ১০ শতাংশ। তবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাছানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির কারণে মাদক ধরাও পড়ছে বেশি।

পুলিশ সুপার এমন তথ্য দিলেও কক্সবাজারের নাগরিক সমাজের মধ্যে আলোচনা আছে যে এত অভিযান, আটক এবং ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারির নিহত হওয়ার ঘটনার পরও কেন কক্সবাজারে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফে সরেজমিন ঘুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার বেশির ভাগ চালান ধরা পড়ে না। ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাহক।

এই বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি সত্য, বড় বড় চালান উদ্ধার হলেও এর বেশি ইয়াবা দেশে ঢুকছে। ধরা পড়ছে মূলত বাহকেরা।’ শীর্ষ কারবারিরা ধরা পড়ছে না কেন—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে দু-একজন ধরা পড়ে। এদের বিশাল সিন্ডিকেট। তাদের পর্যন্ত পৌঁছানো যায় না।

আরও পড়ুন

টেকনাফে কেন এতো মাদক কারবারি

পুলিশের তালিকানুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ১৫১ জন মাদক বা ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে শুধু টেকনাফেই রয়েছেন ৯১২ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায়, কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারির ৭৩ জনের মধ্যে ৬৫ জনই টেকনাফের। ইয়াবা কারবারিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান (বদি) ও তাঁর চার ভাইয়ের নাম। বদির চার ভাই মাদক কারবারি হিসেবে আত্মসমর্পণ করলেও বদি নিজে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার থাকা অস্বীকার করে আসছেন। তবে সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দেওয়া একটি মাদক মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক সাংসদ আবদুর রহমানের (বদি) দুই ভাই শফিকুল ইসলাম ও ফয়সাল রহমান টেকনাফে ইয়াবার কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরা সাবেক সাংসদ বদির প্রভাব কাজে লাগান।

ফাইল ছবি

২০১৮ সালে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পর থেকে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযানে কক্সবাজার জেলায় পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার নারীসহ ২৯৯ জন নিহত হন। তাঁদের ১৭৪ জনই নিহত হন টেকনাফ উপজেলায়।

অবশ্য ২০১৮ সালের ২৬ মে রাতে টেকনাফে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ স্থানীয় কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা একরামুল হকের নিহতের ঘটনা দেশজুড়ে এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে। ‘হত্যাকাণ্ড’টি ঘটার সময় নিজের মেয়েদের সঙ্গে একরামুলের কথোপকথন শোনা যায় ফোনে থেকে যাওয়া রেকর্ডে।

ছবি: প্রতীকী

২০২০ সালের ৩১ জুলাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। যে ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি টেকনাফ থানার তখনকার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়েছে।

সিনহা নিহতের পর টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ অনেক দিন বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে সংখ্যায় কম হলেও মাঝেমধ্যে এমন বন্দুকযুদ্ধের খবর আসে। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর সেখানে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। ১০ ডিসেম্বর র‌্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে দেশের কোথাও আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ বা ‘ক্রসফায়ার’-এর খবর পাওয়া যায়নি।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বেশির ভাগ ইয়াবা আসে টেকনাফ হয়ে। টেকনাফে মাদক ঢোকার অন্যতম পথ হিসেবে পরিচিত নাফ নদীর তীরবর্তী হ্নীলা, জাদিমোড়া, দমদমিয়া এবং বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন টেকনাফ সদরের মহেশখালিয়া পাড়া, তুলাতলী, হাবিবছড়া ও নোয়াখালী পাড়া।

স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁরা জানান, ২০ থেকে ৫০ টাকায় কিনে প্রতিটি ইয়াবা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয় টেকনাফে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। টেকনাফের অনেকেই ইয়াবার কারবারকে অপরাধ বলে মনে করেন না। ব্যবসা হিসেবে দেখেন। স্থানীয় ভাষায় তাঁরা এটিকে ‘ট্যাবলেট’ বলেন। কম বয়সীরাও এই কারবারে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান জোরদারের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নইলে টেকনাফের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে ধাবিত হবে। দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে এটি বন্ধে এগিয়ে আসা উচিত।

আত্মসমর্পণ, জামিনে বেরিয়ে মাদকে

বিশেষ অভিযানকালে টেকনাফে ১২৩ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাবেক সাংসদ বদির চার ভাইসহ ১০২ জন আত্মসমর্পণ করেন। দ্বিতীয় দফায় পরের বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ২১ জন মাদক কারবারি।

এই ১২৩ জনের মধ্যে একজন কারাগারে মারা গেছেন। বাকিরা একে একে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জামিন পাওয়া ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চারজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন এনামুল হক, নুরুল হুদা, শামসুল আলম ও রেজাউল করিম।

এঁদের মধ্যে এনামুল হক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তিনি টেকনাফকে মাদকমুক্ত করার চেষ্টা করছেন। হ্নীলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ইউপি সদস্য নুরুল হুদাও মাদক নির্মূলে কাজ করছেন বলে দাবি করেন।

তবে টেকনাফ, উখিয়া ও কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামিনে আসা তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আবার মাদক চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছেন। যে কারণে ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না।

যেমন জামিনে আসা শাহ আজম ও মঞ্জুরুল আলম আবার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হন। এর মধ্যে শাহ আজম অপর তিনজনসহ টেকনাফের হ্নীলায় গ্রেপ্তার হন ২০২১ সালের ২৪ মে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার ইয়াবা। মঞ্জুরুল আলম আত্মসমর্পণের ১০ মাস পর জামিনে মুক্তি পান। তিনি এক সহযোগীসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ৯২ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. হাছানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাঁরা জামিনে বেরিয়েছেন, তাঁদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

একই পথে আসছে আইস

কক্সবাজারে গত ১১ মাসে ৩২টি চালানে মোট ৫২ কেজি ৩০৫ গ্রাম আইস উদ্ধার হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসাবে যার মূল্য ২৬১ কোটি টাকা। জেলায় প্রথম আইস ধরা পড়ে ২০২১ সালের ৩ মার্চ। ওই দিন টেকনাফের জাদিমোরা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে ২ কেজি আইসসহ মো. আবদুল্লাহ নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

উখিয়ার বালুখাল কাটাপাহাড় এলাকায় গত ৩১ জানুয়ারি একটি সন্ত্রাসী আস্তানায় বিজিবির অভিযানে ৪৫ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কেজি আইস উদ্ধার করা হয়। বিজিবির দাবি কক্সবাজারে উদ্ধার আইসের চালানের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ। উখিয়ার সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ইয়াবার সঙ্গে মিয়ানমার থেকে নতুন করে আইস আসছে। এ জন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

সমাধান কোনপথে

মাদকের ব্যবসার শিকড়ে হাত না দেওয়া এবং শীর্ষ কারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় মাদক চোরাচালান কমছে না, বরং বেড়েছে বলে মনে করেন মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নোঙরের কক্সবাজার জেলার নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম।

অন্যদিকে মাদক পাচারে বাংলাদেশকে মিয়ানমার ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মনে করেন মাদক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক গবেষক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম ইমদাদুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মাদক চোরাচালান রোধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা কার্যক্রম তদারকি জোরদার প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ইন্টারপোল এবং জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এখনই উদ্যোগ না নিলে মাদককে ঠেকানো যাবে না।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন]