বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে যন্ত্রটি সাত মাস ধরে বিকল পড়ে আছে। ফলে হাসপাতালে আগত রোগীদের প্রয়োজনে এক্সরে করতে বাইরের বিভিন্ন রোগনির্ণয় কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। এতে রোগীদের যেমন বাড়তি খরচ হচ্ছে, তেমনি আসা-যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগে বেশ কয়েকজন রোগীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুন অর রশিদ এক্সরে করার পরামর্শ দেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত উপজেলার কুকুয়া গ্রামের জুয়েল (৩৫) জানান, তাঁর হাতের এক্সরে তিনি বাইরের একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে করিয়ে এনেছেন। মারপিটের ঘটনায় আহত আমতলী গ্রামের সেকান্দার (৫০) মিয়াকে স্বজনেরা ধরাধরি করে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। সেকান্দার বলেন, ‘হাসপাতালের যন্ত্র থাকতে শরীরের যন্ত্রণা লইয়া মোর বাইরে যাওন লাগতাছে। খরচও হইবে দ্বিগুণ।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে বিভাগের টেকনিশিয়ান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে স্থাপিত হাসপাতালের অত্যাধুনিক এক্সরে যন্ত্রে এক্সরে করতে রোগীদের খরচ পড়ে ৮০ টাকা। এখানে দরিদ্র রোগীদের এক্সরে বিনা মূল্যে করা হয়। এটি ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বাইরের রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে রোগীদের ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করে এক্সরে করাতে হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একরামুল কবির জানান, বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরিশালের সহকারী পরিচালক মোশতাক আল মেহেদী জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ও যন্ত্রপাতি বিতরণ বিভাগের (সিএমএইচডি) আওতাধীন। এক্সরে যন্ত্রটি সচল করতে তাদের তাগিদ দেওয়া হবে।