ফার্মগেট পদচারী-সেতু থেকে ইন্দিরা রোডের টিঅ্যান্ডটি মাঠ পর্যন্ত সড়কটির দুপাশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। আর আছে লেগুনাস্ট্যান্ড। ফলে যানজট লেগেই থাকছে। বিঘ্ন ঘটছে যানবাহন ও লোকজনের চলাচলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা যায়, তেজগাঁও কলেজের সামনের সড়কে হকাররা ফল, সবজি, পোশাক, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ নানা কিছুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। আবুল কাসেমের ফলের দোকান। এখানে ব্যবসা করছেন ২০ বছর ধরে। সড়কে ব্যবসা করা নিয়ে বলেন, তাঁদের কেউ কিছু বলে না। কাউকে টাকাও দেন না। এ এলাকার ফুটপাত সংস্কার করা হচ্ছে। কাসেম বললেন, সংস্কারের জন্য তাঁরা ফুটপাত ছেড়ে বসেছেন। গলির মতো এ সড়কে হকার বসায় সড়কটি সরু হয়ে গেছে। এক পথচারী বিরক্ত হয়েই বলেন, এখানে চলতে গেলে ধাক্কা খেতে হয়। ঠিকমতো হাঁটা যায় না।
ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের লেগুনা ইন্দিরা রোড থেকে চলাচল করে। এগুলো চলে জিগাতলা, ৬০ ফুট ও মোহাম্মদপুর রুটে। ইন্দিরা রোডের যে সড়ক দিয়ে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলে, সেখানে এ লেগুনাগুলো সারি বেঁধে রাখা থাকে। পাশাপাশি সরু সড়কেও রাখা হয়। প্রায়ই এখানে যানবাহনের জট লেগে যায়। ফুটপাতে রেখে এগুলো সারাইয়ের কাজও হয়। ঢাকা ইন্দিরা পরিবহনের অফিসটিও ফুটপাতের ওপর। লেগুনা ছাড়াও অনেক ব্যক্তিগত গাড়িও এখানে রাখা হয়।
ইন্দিরা রোডের টিঅ্যান্ডটি মাঠের সামনে প্রায় ১০টির মতো ছোট চায়ের দোকান। নুরুল হোসেন এখানে ১৭ বছর ধরে দোকান করছেন। এখানে ব্যবসা করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘কালকে সিটি করপোরেশন আমাদের লিস্ট কইরা গেছে।’ মাঠের উল্টো পাশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি আঞ্চলিক অফিস ও এসটিএস রয়েছে। অফিসটির সঙ্গে বাঁশ ও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যানার দিয়ে তৈরি একটি খুপরিঘরও আছে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গতকালকেই হকারদের তালিকা করেছি। সবই উচ্ছেদ হবে।’ সড়কে লেগুনা রাখা সম্পর্কে বলেন, এটা ডিএমপি ও বিআরটিএ দেখে। যখন উচ্ছেদ-প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন।
ঢাকা ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপকমিশনার লিটন কুমার সাহা বলেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না হলেও মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে লেগুনাগুলোকে এক সারিতে রাখার কথা বলা আছে। তবে বিশৃঙ্খলা হলে তাঁরা ব্যবস্থা নেন।