আ.লীগ নেতাদের বাধায় আসামি ধরতে পারেনি পুলিশ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধায় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার মামলার আসামি যুবদলের এক নেতাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া মামলার আসামি। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করেই ফিরে আসে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষে রয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সাংসদ মজিবুর রহমান ফকির। অন্য পক্ষে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বিধু ভূষণ দাস। দশম সংসদ নির্বাচনে মজিবুর রহমান ফকিরতে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিধু ভূষন দাসসহ ছয়জন নেতা তাঁর বিরোধিতা করেন। তাঁরা সংবাদ সম্মেলন করে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবিও জানান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী মজিবুর রহমান ফকিরের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলমের পক্ষে কাজ করেন।
নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় প্রতিহিংসামূলক আমাকে আসামি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে আলী আহাম্মদ খান পাঠানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হামিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, বাধা দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।