আমরা ভীষণ খুশি: ১৪ দল
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় হওয়ায় ভীষণ খুশি ১৪ দল। দলগুলোর নেতারা বলছেন, এটা দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত রায়। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার জন্য বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে গেল।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘পুরো জাতি এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমি মনে করি, এ রায়ে সবাই খুশি।’
আওয়ামী লীগের অপর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘রায়ে আমরাও খুশি, আওয়ামী লীগও খুশি। এটা জনগণের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত রায়। এভাবেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।’
জাতির দীর্ঘ প্রত্যাশিত রায় হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপরাধী হলে মানুষ নরম হয়। কিন্তু তাঁর অহমিকা দেখে মনে হয়, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ জাতির প্রত্যাশিত রায়।’ তিনি বলেন, এ রায়ে প্রমাণ হল— বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের দল। যুদ্ধাপরাধীদের তারা যে পৃষ্ঠপোষকতা করে এই রায়ে সেটাই প্রমাণিত হলো। এখন জনগণের উচিত তাঁদের কাছ মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘এটা আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত রায়। মানুষ সব সময় এসব ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা করছিল। আজ মানুষের সেই আশা পূরণ হলো।’
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘এই রায় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যেভাবে চেয়েছে, সেভাবেই রায় হয়েছে। আর যদি কোনো অপশক্তি বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।’
রায়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এই রায়ের জন্য প্রতীক্ষা করছিল। তিনি (সাকা) যে দম্ভোক্তি করছিলেন, সেটা পুরো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্য অবমাননাকর ছিল।’