আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন চেয়ে রিটের শুনানি ৩১ অক্টোবর
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর আগামী রোববার শুনানির দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১’ খসড়ার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠাসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে এর আগে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম ওই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চার নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে এবং ওই বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
অন্যদিকে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট করা হয়। রিটে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন–সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষ জানায়, ‘নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১’ নামে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। এর আলোকে আইন প্রণয়ন করে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে রিটটি করা হয়।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১’ খসড়ার ভিত্তিতে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন–সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। আইন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।
এর আগে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন বা বিধান প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল শুনানির অপেক্ষায় বলে জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।