অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক পটুয়াখালী ও কলাপাড়ায়
সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের বর্তমান সাংসদ মো. মাহবুবুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা প্রথমে পটুয়াখালীতে এবং পরে কলাপাড়া শহরে আসেন। এ ছাড়া দুদকের ওই দলে রয়েছেন পটুয়াখালী দুদকের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. শাওনসহ আরও দুজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাহবুবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী প্রীতি রহমানসহ তাঁর আত্মীয়দের কী পরিমাণ সম্পদ আছে, তা অনুসন্ধানে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে দুদক। দুদকের তদন্ত দল গতকাল সকালে পটুয়াখালীতে গিয়ে গোপনে অভিযোগ গ্রহণ এবং প্রমাণাদি সংগ্রহ করে দুপুরের পর কলাপাড়ায় পৌঁছায়। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সংগৃহীত হলফনামা, আয়কর নথি, ভূমি কার্যালয় থেকে জমির দালিলিক তথ্য এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গঙ্গামতি ও আন্ধারমানিক ট্রেডার্সসহ টেন্ডার-বাণিজ্যের তথ্য জানতে দুদকের তদন্ত দল কলাপাড়া ছাড়াও কুয়াকাটায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করবে বলে জানা গেছে।
দশম সংসদ নির্বাচনে হলফনামার তথ্য অনুসারে গত পাঁচ বছরে মাহবুবুর রহমানের ব্যাংকে জমাকৃত টাকা বেড়েছে ৫৮৬ দশমিক ৭৫ গুণ, জমি বেড়েছে ২০ একর থেকে দুই হাজার ৮৬৫ একর অর্থাৎ ১৪৩ দশমিক ২৫ গুণ, বার্ষিক আয় বেড়েছে ৭৯ দশমিক ২৩ গুণ। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ গুণ। এসব খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে সরকারের নির্দেশে গত ২২ জানুয়ারি মাহবুবুর রহমানসহ ৭ মন্ত্রী ও সাংসদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে দুদক।