অন্ধকারেই রয়েছে বগুড়ার শেরপুরের সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী হত্যার রহস্য। তদন্তের মাধ্যমে দীর্ঘ নয় বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা করতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
উত্তর জনপদের প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের আজ ২ অক্টোবর নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সহসভাপতি ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দুর্জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক দীপংকর চক্রবর্তী ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর রাতে শেরপুর উপজেলার স্যানালপাড়ার নিজ বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন।
ঘটনার পরের দিন দীপংকরের বড় ছেলে পার্থ সারথি চক্রবর্তী শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। হাতবদলের মাধ্যমে মামলাটি ইতিমধ্যে শেরপুর থানার পুলিশ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মোট নয়জন কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। তদন্ত শেষে কর্মকর্তারা তিনবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সর্বশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় গত ২৯ জুলাই। এ নিয়ে বাদীর নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ অক্টোবর আদালতে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার বাদী পার্থ সারথি চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তদন্ত কর্মকর্তারা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তদন্ত করায় দীর্ঘ নয় বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম ফারুক বলেন, ক্লুলেস এই মামলায় তখন চারজনকে সন্দেহজনক হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে অধিকতর তদন্তকালে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তারা তাঁদের কাছ থেকে কোনো তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি।
সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের দাবিতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শেরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।