শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ সরকারের কাছে সীমাহীন প্রত্যাশা। আগামী ছয় মাস বর্তমান সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে সরকারকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও প্রাতিষ্ঠানিকতা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে জরুরি। এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই—সার্বিক ঐকমত্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কাজটি করতে গেলে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কার্যক্রমও সমান্তরালভাবে চালাতে হবে। সরকারের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি বাঞ্ছনীয়। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করার মূল্য অনেক সরকারকে কড়ায়–গন্ডায় দিতে হয়েছে। আশার দিকই প্রবল। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পটপরিবর্তনের পর অনেক দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভবিষ্যতের পথপরিক্রমা নির্ভর করছে।
দ্রব্যমূল্য, ভোক্তা ও কৃষক
দ্রব্যমূল্য বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতাকাঠামোয় ‘অ্যাকিলিস হিল’। এক–এগারো সরকারকে চালের ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে হেনস্তায় পড়তে হয়েছে। ব্রিটিশ ভারতে কৃষক প্রজা পার্টির তুমুল জনপ্রিয় রাজনৈতিক প্রকল্প চালের দামের চাপে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন কৃষক প্রজা পার্টি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। মুজিব সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা স্বাধীনতা–পরবর্তী প্রথম দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে ইতিহাসে বিবৃত। ১৯৮৮ সালের বন্যা–উত্তর দাম সামলাতে না পারাও স্বৈরাচার এরশাদের পতনের কারণ। ১৯৯৮ সালের বন্যা আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা হারানো এবং পরবর্তী নির্বাচনে পরাজয়ে ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসাবে, আগস্টে ৩৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৪৩ শতাংশ ধার করে খাবার কিনেছে। চাল, সবজিসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে।
মোটা চালের কেজি ৫৫ টাকা, সরু চাল ৮০ টাকা। এদিকে সরকারি গুদামে চালের মজুতও কমতে শুরু করেছে। মূলত আমন ও বোরো ধান ওঠার আগের সময়ে (এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর) বাজারে চালের কিছু ঘাটতি থাকে। অসাধু ব্যবসায়ী ও চালকলের মালিকেরা সুযোগ নিয়ে এ সময়ে চালের দাম বাড়ান। নতুন সরকার আসার পর ব্যবসায়ী-চালকলের মালিকেরা সুযোগ বুঝে চালের দাম আরও বাড়ান। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ব্যবসায়ী-চালকলের মালিকেরা দাম কিছুটা কমিয়ে দেন। কিন্তু সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা দাম তিন থেকে চার টাকা বাড়ান। সরকার চাপ দিলে তাঁরা এক থেকে দুই টাকা কমান। চালের বাজারে এ প্রবণতাই বিদ্যমান। উপরন্তু, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী-চালকলের মালিকেদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ বাজারে প্রভাব ফেলছে।
সরকারের দিক থেকে তিন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যায়। প্রথমত, অসাধু ব্যবসায়ী ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী অটো চালকলের মালিকদের গুদামে বাড়তি চাল মজুত আছে কি না, তা তদারক করা। দ্বিতীয়ত, মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চালকলের মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ। তৃতীয়ত, চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যনিরাপত্তাহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ-বণ্টন বাড়ানো।
সরকার চার লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এযাবৎ অন্য দেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তি বা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানির উদ্যোগ শুরু হয়নি। প্রায় সোয়া এক কোটি টন খাদ্য আমদানি করতে হয়। গম ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন, ভোজ্যতেল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৫ থেকে ৭ লাখ টন ও ডাল ২ লাখ টন। বন্যার জন্য এবার ২০ লাখ টন চাল আমদানিও লাগবে। পতিত সরকারের অলিগার্করা আমদানি নিয়ন্ত্রণ করত। ‘অলিগার্কি ব্যবস্থাপনা’র পাশাপাশি বিকল্প জোগানব্যবস্থা গড়া জরুরি। একইভাবে পণ্যগুলো যেহেতু নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি হয়, তাদের সঙ্গে অস্বস্তি থাকলে কূটনৈতিক যোগাযোগও বাড়ানো দরকার।
নভেম্বরে সবচেয়ে বড় মৌসুমের শুরু। বোরো ও রবিশস্যের আবাদ শুরু হবে। এ সময়ে চাহিদার অর্ধেকের বেশি সারের জোগান লাগবে—প্রায় ৪০ লাখ টন। বীজ, ডিজেল ও কীটনাশকের মতো উপাদানগুলোর সহজলভ্যতা দরকার। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে কৃষকের ও ভোক্তার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষির ভর্তুকিব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নির্দিষ্ট উদ্যোগ প্রয়োজন। ভর্তুকি প্রদানের উদ্দেশ্য হবে কৃষিপণ্যের বাজারকে স্থিতিশীল রাখা, যথাসময়ে নির্ধারিত মূল্যে উপকরণ সরবরাহ, ইন্টার-লকড বাজারের (রোপণের সময় অর্থ দিয়ে কম দামে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়) দৌরাত্ম্য কমানো, খামার বিনিয়োগ থেকে আয় বা লাভ বাড়ানো, গ্রামীণ উন্নয়নে সহায়তা এবং সর্বোপরি জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত। উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহায়তার যাচাইযোগ্য প্রণোদনা হাতে নিতে হবে। যেমন কৃষককে সরাসরি উৎপাদনভিত্তিক অর্থ প্রদান; মূল্য সমর্থক সরকারি ক্রয়; অবস্থান বা বৈশিষ্ট্য অনুসারে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ; দুর্যোগ উপশমে ফসলবিমা; সেচের জন্য ভর্তুকি ও ঋণ ইত্যাদি। তবে জালিয়াতি নিবারণের পদ্ধতি থাকতে হবে। আবার করদাতাদের অর্থ যাতে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে স্থানান্তরিত না হয়, তেমনই ভর্তুকি ডেডওয়েট লস না হয়ে সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে ইত্যাদি দিকে নজর দিতে হবে।
কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন
ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে কর্মসংস্থানবিষয়ক নানা বৈষম্য জ্বালানি হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল। কোটায় ভারাক্রান্ত সরকারি চাকরিতে তরুণদের প্রবেশে পদে পদে বাধা ছিল। কর্মসংস্থানের কথা উঠলেই পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ও অন্যান্য সরকারি চাকরির প্রসঙ্গে ওঠে। সরকারি চাকরি ৫ শতাংশের কম।
মূল কর্মসংস্থান বেসরকারি খাতে। এর সঙ্গে কাঠামোগত সমস্যা তথা ৮৫ শতাংশ কাজই অনানুষ্ঠানিক খাতে; না আছে জীবনধারণযোগ্য বেতন, না অধিকার। অর্থনীতির চাকা না ঘুরলে, ব্যবসায়ী–শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা না ফিরলে কর্মসংস্থান হবে না। এটা নির্মম বাস্তবতা। জনমিতিক লভ্যাংশ দূরবর্তীই থাকবে। তরুণ জনগোষ্ঠীর জীবনধারণযোগ্য আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করতে পারলে বারবার সংকট দেখা দেবে। এক পণ্য রপ্তানি ও অভিবাসী আয় দিয়ে সংকটের মৌল ভিত্তি নিবারণ করা যাবে না।
শ্রমঘন শিল্পায়নই সংকটের অর্থনৈতিক ভিত্তি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। প্রফেসর ইউনূসই এ নবযাত্রায় অগ্রবর্তী ভূমিকা রাখতে পারেন। তাঁর ইমেজ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, চীন, ভারত ও আসিয়ান-মধ্যপ্রাচ্য থেকে শিল্প খাতে বিনিয়োগের জয়যাত্রা শুরু হতে পারে। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে এক যুগান্তকারী নতুন শিল্পবিপ্লবের দৃষ্টান্ত হতে পারে বাংলাদেশ। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ শিল্পবিপ্লব বৈশিষ্ট্যময় হবে। একইভাবে পতিত সরকারের আমলের অলিগার্ক-নির্ভর ব্যবসা, শিল্প ও বাণিজ্যের পরিবর্তে ‘কনভেয়ার বেল্ট সাব-কনট্রাকটিং’ কৌশলে মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ থেকে রেহাই মিলবে। অজস্র উদ্যোক্তা ও জীবনধারণযোগ্য প্রকৃত আয় বৃদ্ধিকারী কর্মসংস্থান দারিদ্র্যকে শূন্যে নিয়ে যাবে এবং সমতার সমাজ গড়ে উঠবে। প্রফেসর ইউনূসের ‘তিন শূন্য’ কৌশল বাস্তবায়িত হবে।
মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও সর্বজনের সক্ষমতা
জোগানজনিত মূল্যস্ফীতিতে সুদের হার বৃদ্ধি নিবারক হিসেবে কাজ করছে না। অধিকাংশ কারবার মাঝারি ও ক্ষুদ্র হওয়ায় ঋণাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। পুঁজি পাচারের বৃহদংশ আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে হয়, তা কঠোরভাবে ব্যাংক রোধ করতে পারলে, হুন্ডি-হাওলা নিবারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা স্থিতিশীল হবে। লেনদেনে ভারসাম্য ফিরে আসবে। ইতিমধ্যে ব্যাংক–ব্যবস্থা সংস্কারে ও সম্পদ পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারল্যসংকট নিবারণে ব্যাংক–ব্যবস্থার বাইরের প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা ব্যাংক–ব্যবস্থায় আনতে ভারতের অনুসৃত কায়দা ছাড়াও গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে সাযুজ্য অনেক সৃজনশীল পদ্ধতি আছে। এতে কয়েকটি ব্যাংকের আমানতকারীদের দিনের পর দিন অপেক্ষা থেকে মুক্তি মিলবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থবছরের বাকি ছয় মাসের সংশোধিত বাজেট প্রণয়ন জরুরি। আগের সরকারের বাজেট নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের এক মাসের মধ্যেই পরিবর্তন করা দরকার ছিল। সংশোধিত বাজেটের কয়েকটি বিষয় উদাহরণস্বরূপ এখানে দেওয়া হলো। প্রফেসর ইউনূসের ইমেজে অনেক বহুপক্ষীয় সংস্থা ঋণ দিতে চাইছে। গত প্রান্তিকে ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার প্রাপ্তির বিপরীতে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার সুদাসল শোধ করতে হয়েছে। আগের সরকারের ঋণ-আসক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সরকারের আয় বাড়াতে করজাল বাড়ানো ও কর পরিহারের সংস্কার অতীব জরুরি। খাতা–কলমে ১ কোটি ২ লাখ টিআইএনধারী, রিটার্ন জমা দেন মাত্র ৪২ লাখ। সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং নাম্বার আছে সাড়ে তিন কোটি। হোল্ডিং নাম্বারের ক্ষেত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করলে করজাল বাড়তে থাকবে। অন্তত দুই কোটি লোককে এর আওতায় আনা সম্ভব। পাঁচ লাখ ভ্যাট নিবন্ধন করেছে। তিন লাখ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মতান্তরে ২৪ বা ১১ হাজার ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্থাপিত হয়েছে। বিশাল ব্যবধান। আগের আমলের স্বজনতোষী পৃষ্ঠপোষকতা বিতরণ থেকে বেরিয়ে আসতে প্রতিটি কর রেয়াত মূল্যায়ন জরুরি। এতে আয় বাড়বে। বিদ্যুৎ খাতে যেসব কোম্পানির বৈদেশিক ঋণ শোধ হয়েছে, তাদের ডলারে অর্থ দেওয়া বন্ধ করলে বিশাল সাশ্রয় হবে। প্রতিটি প্রকল্পের বরাদ্দের যৌক্তিকায়ন করলে ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প বাদ দিলে অনেক সাশ্রয় বাড়বে।
সাশ্রয়ী অর্থ জনকল্যাণে ব্যয়িত হলে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের সঙ্গে সামাজিক চুক্তির অর্থ খুঁজে পাবেন। কর দিতেও উৎসাহিত হবেন। ‘পূর্ণ জীবনচক্রভিত্তিক সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি’ কোনো অলীক কল্পনা নয়। বিদ্যমান খণ্ডবিখণ্ডিত ১১৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে এক কোটি মানুষ তালিকাভুক্ত। চারজনকে এক পরিবার ধরলে চার কোটি মানুষ হওয়ার কথা। বিবিএসে মতে, দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ আর ‘বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক’ অনুযায়ী ৪ কোটি ১৭ লাখ। ১ কোটির তালিকাটিতে অন্তত ৪৬ শতাংশ ভুল থাকায় ২০১৮ সাল থেকে বহুবার বরাদ্দ বাড়ালেও আজতক ‘গৃহস্থালি তথ্যভান্ডার’ তৈরি হয়নি। সরকার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে দিয়েছিল। গৃহস্থালি তথ্যভান্ডার তৈরির দায়িত্ব ওই বিভাগকে দিতে পারে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে স্বাস্থ্য কার্ড করা যেতে পারে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য প্রথম পর্যায়ে ওয়ার্ডভিত্তিক জিপি নির্দিষ্টকরণের পর রেফারেল–ব্যবস্থায় যাওয়া যাবে।
সব কর্মসূচিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে ‘সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে পারে। স্মর্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুক্তরাজ্যের কল্যাণরাষ্ট্রের ভিত রংপুরে জন্মগ্রহণকারী লর্ড বেভারিজ করেছিলেন। আজতক রংপুর বিভাগ সবচেয়ে দারিদ্যক্লিষ্ট! রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের প্রতি এর চেয়ে কি বড় শ্রদ্ধার্ঘ্য হতে পারে!
* রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক;