শিশুকালে আমার হাতেখড়ি হয়েছে স্লেট দিয়ে। চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বহু স্লেট ভেঙেছি, কেঁদেছি। আবার নতুন স্লেট পেয়ে সারা দিন উল্লাসে থেকেছি। তখন বাবাকে বলতে শুনতাম, ‘তোরা কত ভাগ্যবান! আমরা কঞ্চির কলম দিয়ে কলাপাতায় লিখেছি।’ কথাটা সত্যি ছিল, কিন্তু কেমন যেন অবিশ্বাস্য লাগত। মাত্র এক প্রজন্মের ব্যবধানে প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনের ধরন পাল্টে যায়। আমাদের চক, স্লেট কিংবা পেনসিলে লেখার দিনগুলোর কথা শুনে ঠিক একইভাবে এখনকার শিশুরা হাসে। মাধ্যমিক স্তরে গিয়ে ঝরনা কলম আর কাগজের খাতা ব্যবহারের কথা শুনেও অনেকে অবাক হন। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে অসংখ্য কাজের অপরিহার্য অনুষঙ্গ এই কাগজের প্রয়োজন হয়তো একদিন থাকবে না। দ্রুত পাল্টাচ্ছে সবকিছু। ডিজিটাল যুগ এসে কাগজের ব্যবহার কমছে দিন দিন। এখন মানুষ ‘সফট কপি’ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হয়তো একদিন ঝরনা কলমের মতো ‘হার্ড কপি’রও প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে। অথবা প্রাচীন পাণ্ডুলিপির মতো লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে থাকবে বহুদিন। ভাবীকালের কোনো গবেষক কিংবা সংগ্রাহক সেগুলো আবিষ্কার করে উল্লসিত হবেন। আমাদের পটিয়াতেই আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের বাড়ি। তিনি একটা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন অবিকশিত এক শিল্পে উৎপাদিত পণ্য কাগজের ওপর লেখা পুঁথি কিংবা সাহিত্যসম্পদ সংগ্রহ করে করে। তখন কোথা থেকে আসত এসব কাগজ? চট্টগ্রামের এই কাগজশিল্প বিকাশের পুরোনো কাহিনি খুঁজব আমরা এই প্রতিবেদনে। সে জন্য আমাদের একটু পেছনে যেতে হবে। রাখতে হবে চোখ ইতিহাসের পাতায়।
ভাষাবিদ ড. মাহবুবুল হকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘কাগজ’ ফারসি শব্দ আর ‘কলম’ আরবি শব্দ। চট্টগ্রামে আরব বণিক, পীর-ফকির, পর্যটক আর ভাগ্যান্বেষী অভিযাত্রীদের আগমন শুরু হয় বহু শতাব্দী আগে। হয়তো তাঁদের সঙ্গেই প্রথম এ দেশে কাগজ এসেছিল এবং প্রচলিত হয়েছিল। ‘কাগজ’ শব্দটির মধ্যে সেই প্রাচীন আরব সম্পর্কের সূত্রটিই লুকিয়ে রয়েছে অথবা কাগজের আগমন ও প্রচলন হয়েছিল ষোড়শ শতাব্দী থেকে শুরু তুর্কি ও মোগল শাসনামলে, যখন সবাই বস্তুটিকে সাধারণভাবে ‘কাগজ’ বলেই উল্লেখ করত। ভারতীয় কোনো ভাষায় কাগজের সঠিক কোনো প্রতিশব্দ নেই। ইংরেজি ‘পেপার’ শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে তৎসম ‘পত্র’ বা ‘পত্রিকা’ শব্দের ব্যবহার এ দেশে সুপ্রাচীনকাল থেকে। লেখার উপকরণ হিসেবে কাগজের বদলে কলাপাতা, তালপাতা, ভুজপাতা বা ভূর্যপত্র ইত্যাদি ব্যবহারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুসলমান শাসনামল থেকেই এ দেশে কাগজের উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু হয়।
চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র কবি জ্যোতির্ময় নন্দী বলেন, কাগজ উৎপাদনকারী কারিগরদের বলা হতো ‘কাগজি’ বা ‘কাগজিয়া’, চট্টগ্রামি অপভ্রংশে যা হয় ‘কাগতিয়া’ বা আরও ভেঙে ‘কইত্তা’। চট্টগ্রামের রাউজানে কাগতিয়া বা কইত্তা অথবা কাগতিয়াপাড়া বা কইত্তাপাড়া ইত্যাদি স্থানীয় নাম অতীতের কাগজ নির্মাতাদের বসতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের স্মৃতি বহন করে। রাউজানের কাগতিয়া হাট একসময় খুব জমজমাট ছিল। তুর্কি ও মোগল আমলে যাবতীয় দলিল-দস্তাবেজ আর পুঁথি-পাঁচালি স্থানীয় কাগজিদের তৈরি কাগজেই লেখা হয়েছে, যার কিছু অবশেষ এখনো দেখা যায় জাদুঘরে বা কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে।
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আরাকান রাজসভার কবি কাজী দৌলত, আলাওল বা মাগন ঠাকুর কিংবা তুর্কি আমলে চট্টগ্রামের স্থানীয় শাসক পরাগল খাঁ আর তাঁর পুত্র ছুটে খাঁর সভাকবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর আর শ্রীকর নন্দী, অথবা বাইশ কবির মনসা পুঁথির কবিরা সবাই যে তালপাতা বা অন্য কোনো পাতায় নয়, বরং স্থানীয় কারিগরদের হাতে তৈরি কাগজেই লিখতেন, তাঁদের লেখা থেকেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, আশুতোষ চৌধুরী প্রমুখ এ ধরনের কাগজে লেখা পুঁথি আর লোকগাথা সংগ্রহ করেছেন। ‘তুলট কাগজ’ নামে পরিচিত একটু নরম এ কাগজ যে যথেষ্ট টেকসই ছিল, তার প্রমাণ মেলে কালের আক্রমণ এড়িয়ে এখনো টিকে থাকা এসব দলিল-দস্তাবেজ আর পুঁথি-পাঁচালি থেকে। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইউরোপের কারখানায় তৈরি আরও উন্নত মানের কাগজের আমদানি ও প্রচলন শুরু হলে স্থানীয় কাগজ নির্মাণশিল্প ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামসহ বাংলা তথা ভারতবর্ষের জনসমাজে কামার, কুমার, স্বর্ণকার প্রভৃতি বৃত্তিজীবী প্রধানত হিন্দুধর্মাবলম্বী হলেও কাগজিরা প্রায় সবাই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। মূলত মোগল শাসকেরা কাগজের কারিগর হিসেবে তাঁদের পূর্বপুরুষদের এ দেশে আমদানি করেছিলেন।
উনিশ শতকের শেষার্ধ থেকে প্রধানত বাঙালি হিন্দুরা নানা শিল্পকারখানা স্থাপন শুরু করলেও বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি বললেই চলে। হিন্দুরা বস্ত্র, পাট, চিনি প্রভৃতি শিল্পের সঙ্গে জড়িত হলেও কাগজের কারখানা স্থাপনের চিন্তাভাবনা তাঁদের কারও মাথায় এসেছিল, এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। হয়তো কাগজ তৈরির কাজ তাঁদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না বলেই এমনটা হয়েছিল। যে কারণেই হোক না কেন, কাগজের জন্য তখন আমাদের সম্পূর্ণভাবে আমদানির মুখাপেক্ষী হয়েই কাল কাটাতে হয়েছে।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিদায় এবং পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরও এ ধারা অব্যাহত থাকে। সে সময় এ দেশে হাতে তৈরি কাগজের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং মাত্র শ দেড়েক জনবলের একটি কার্বন কাগজ তৈরির প্রতিষ্ঠান ছাড়া স্থানীয়ভাবে কাগজের শিল্পোৎপাদনের কোনো আভাস তখন এ অঞ্চলে দেখা যায়নি।
সেই বন্ধ্যা অবস্থা কাটিয়ে ওঠার যুগান্তকারী পদক্ষেপটি এই চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়। ১৯৫১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান শিল্পোন্নয়ন সংস্থা (পিআইডিসি) পার্বত্য চট্টগ্রামের (বর্তমান রাঙামাটি পার্বত্য জেলার) কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রতিষ্ঠা করে এশিয়ায় বৃহত্তম কাগজের কল ‘কর্ণফুলী পেপার মিলস’ (কেপিএম)। প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এটাই ছিল এ দেশে শিল্প আইনের অধীন নিবন্ধিত প্রথম কাগজের কারখানা। ৬৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কারখানা স্থাপনে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইডেন ও ইতালির সহায়তা এবং বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠাকালে কেপিএমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল বার্ষিক ৩০ হাজার মেট্রিক টন। ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। তবে প্রতিষ্ঠার পর মূলত ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার অভাবে কয়েক বছরের মধ্যেই এর উৎপাদনক্ষমতা কমে আসে। সে কারণে তখনকার সরকার ১৯৬৪ সালে এটাকে পাকিস্তানি দাউদ শিল্প গ্রুপের কাছে খুব সস্তায় বিক্রি করে দেয়। দাউদ গ্রুপ কেপিএমের সুষম আধুনিকায়ন ও যৌক্তিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে ১৯৬৯-৭০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার টনে দাঁড়ায়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উদ্ভবের পর পাকিস্তানি শিল্প গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেপিএমকে একটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণভার নেয় বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (বিআইডিসি)। স্বাধীনতার পর কারখানাটির উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায় এবং পাকিস্তানি বাজার হারায়। এ কারণে উৎপাদিত কাগজের একটা বিরাট অংশ অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকত। এ সময়ে কাগজ তৈরির কাঁচামালের সরবরাহও কমে যায়। তখন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা থেকে নিয়মিত বাঁশ ও কাঠ সরবরাহের ব্যবস্থা করে। কেপিএমের যাবতীয় সমস্যা ও সংকট চিহ্নিত করার জন্য সরকার ১৯৭৯-৮০ সালে ২৪ কোটি টাকার একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। উৎপাদিত কাগজের মানোন্নয়ন, উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস এবং তৎকালীন বার্ষিক ১৬ কোটি টাকার বেশি লোকসান ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক দক্ষতা বাড়ানো হয়। এর সুফল হিসেবে কেপিএম ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে ৭৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যে প্রায় সাড়ে ২৮ টন কাগজ বিক্রি করতে সক্ষম হয়। কেপিএমের সেই সুদিনের কথা আজও স্মরণ করেন আন্দরকিল্লার কাগজ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জসিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাগজের ব্যবসা ছিল রমরমা। এ ব্যবসার প্রধান ভরসা ছিল কেপিএম। শুধু তো কাগজ ব্যবসায়ীরা নন, এই কারখানার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়ে গেল দেশের মুদ্রণশিল্প, গণমাধ্যম, প্রকাশনাশিল্প, সাহিত্য প্রকাশনা, শিক্ষাব্যবস্থা। কারখানাটি উৎপাদিত পণ্যের ধরনের কারণে দেশের সুশীল ও শিক্ষিত সমাজের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থাকল শুরু থেকেই। তার কারণে অন্যান্য কারখানার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের কেপিএম বেশি পরিচিতি লাভ করল। ক্রমেই এই কারখানা আমাদের ঐতিহ্যে পরিণত হলো। শুরু থেকেই কেপিএমে সাদা, বাদামি ও অন্যান্য রঙের কাগজ তৈরি করা হয়ে আসছে। বর্তমানে এই কারখানায় লেখার কাগজ, ছাপাই ও মুদ্রণের কাগজ, মোমের প্রলেপ দেওয়া কাগজ, করোগেটেড বোর্ড, আঠাযুক্ত ফিতা, বিটুমিন কাগজ প্রভৃতি উৎপাদন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে কাগজের কাঁচামাল বাঁশ ও কাঠের মজ্জা বা উডপাল্পের সহজলভ্যতার দিকটি বিবেচনা করে চন্দ্রঘোনা কাগজের কলটি স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সংগৃহীত বাঁশ ও কাঠ ছাড়াও সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা মণ্ডও কেপিএমে কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।’
তবে বর্তমানে কেপিএমের অবস্থা খুব শোচনীয়। এ সম্পর্কে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রথম কাগজ কারখানা কর্ণফুলী পেপার মিলস। প্রতিষ্ঠানটির মানসম্পন্ন কাগজের কদর ছিল দেশজুড়ে। প্রকাশনাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হতো সেই কাগজ। এখন এসব অতীত। ধাপে ধাপে কমেছে উৎপাদন, কমেছে আয়। ঋণ আর লোকসানে জর্জরিত হয়ে ‘মুমূর্ষু’ অবস্থা প্রতিষ্ঠানটির। কেপিএম নিয়ে আক্ষেপ করলেন চট্টগ্রামের বলাকা প্রকাশনার কর্ণধার জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, শুরুতে কেপিএমের কাগজ দিয়ে তাঁরা বই ছাপাতেন। নিজস্ব মণ্ড দিয়ে এসব কাগজ তৈরি করা হতো। এ কারণে মানও ছিল ভালো। এরপর ধাপে ধাপে কাগজের মান কমতে থাকে। এমনকি চাহিদা অনুযায়ী কাগজও দিতে পারছিল না। এ কারণে বছর দশেক আগে কেপিএম থেকে তাঁরা কাগজ কেনা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ কিনে বই ছাপাচ্ছেন।
চট্টগ্রামে বেসরকারি উদ্যোগে কাগজ তৈরি শুরু হয় গত শতকের শেষ দিকে। চট্টগ্রামের নামকরা শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাগজ উৎপাদনে সচেষ্ট হয়। এগুলোর মধ্যে টিকে গ্রুপ, মোস্তফা, এসএ, এশিয়ান, মীর ও আম্বিয়া গ্রুপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রামে ১৫টি কাগজের কারখানা গড়ে ওঠে। কিন্তু এসবের বেশির ভাগ বেশি আয়ুষ্কাল পায়নি। একে একে প্রায় সবই বন্ধ হয়ে যায়। এখন চট্টগ্রামে মোট পাঁচটি কারখানা উৎপাদনে আছে।
চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস বলেন, ‘এখন আমাদের বড় সংকট যাচ্ছে। সত্যি বড় দুর্দিন এখন। এই সংকটে বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্পকে বাঁচাতে পারে একমাত্র কেপিএম। সরকারের যথাযথ প্রচেষ্টা, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, যুগোপযোগী কারিগরি উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখতে পারে।’ কেপিএম তার হারানো গৌরব ফিরে পেলে আমাদের ঐতিহ্য যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি কাগজের সংকটও দূর হবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রয়োজন শুধু কারখানাটিকে যৌবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।