কয়েক মাস আগে ভারতের জয়পুরে এমনই এক বিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে, যেখানে অতিথি ছিলেন মাত্র ছয়জন।
এই ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে ছিলেন শুধু দুই পরিবারের কাছের মানুষেরা।
বর–কনে দুজনই ভিজ্যুয়াল আর্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন।
কনে সেলেনা রান্ধাওয়া কাজ করেন ডিজনি প্লাসের মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে।
বর জগদীপ পান্নু পেশায় বিয়ে ও বিজ্ঞাপনের সিনেমাটোগ্রাফার।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে বসবাসরত এই দম্পতি বন্ধুদের আড্ডায় পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন।
আলাপের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁরা ডেট শুরু করেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই বছর প্রেমের পর।
সম্পর্ক কিছুটা পোক্ত হওয়ার পরই সেলেনা চেয়েছিলেন, জগদীপ যাতে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করেন। কারণ, তিনি তখন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
জগদীপ দেখা করে ফেরার এক ঘণ্টা পর মারা যান তাঁর হবু শ্বশুর। এ সময়ই মূলত দুজনের ভালোবাসা আরও পোক্ত হয়। সবচেয়ে দুঃখের দিনগুলোয় সেলেনা তাঁর প্রেমিককে পাশে পেয়েছেন।
এই শোক কাটিয়ে ওঠার পর জগদীপ পান্নু যখন সেলেনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, তার কয়েক দিন পরই জগদীপের বাবাও মারা যান।
৯ মাসের মধ্যে দুজনের বাবা মারা যাওয়ায় দুই পরিবারের পরিচয় পর্বটা হয়েছে শোকার্ত পরিস্থিতিতে।
এরপর বিয়ের পরিকল্পনার সময় দুজনই চেয়েছিলেন ভারতে গিয়ে বিয়ে করতে। আর সেখানে অতিথি বলতে শুধু ঘরের মানুষেরা থাকবেন।
যেখানে পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে নিজেদের বিয়ের পোশাক ও সাজ পছন্দ করেছিলেন এই দম্পতি।
ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচীর নকশা করা পোশাক পরেছিলেন বর–কনে। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই বাবাকে স্মরণ করে তাদের আঁকা ছবি রাখা হয় ভেন্যুতে। দুটি চেয়ারও রাখা হয়েছিল ফাঁকা।
গত এপ্রিলে এই বিয়ের আয়োজনে জয়পুরের একটি প্যালেস বুক করেছিলেন তারা।