স্ত্রী বিকিনি পরে ঘুরতে চান। তাই স্বামী আস্ত একটা দ্বীপই কিনে ফেললেন—সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
যে নারীকে নিয়ে চলছে এত আলোচনা, তিনি সৌদি আল নাদাক। তাঁর জন্ম যুক্তরাজ্যে। তাঁর বয়স যখন ছয় বছর, তখন সৌদি আরব চলে আসে তাঁর পরিবার।
টিকটকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান সৌদি। টিকটকে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৩ লাখ। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৩ লাখ ৭৬ হাজার অনুসারী।
টিকটকে ৪০ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে সৌদি আল নাদাকের ভিডিও।
বিয়ের আগেই টিকটকে সৌদি ঘোষণা দিয়েছিলেন, একজন ধনকুবেরকে বিয়ে করে ‘গৃহবধূ’ হিসেবে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে চান। আর সেসবের ওপর ভিডিও বানাতে চান। এটাই তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য।
৩ বছর আগে ২৬ বছর বয়সী এই টিকটকার বিয়ে করেন ৩২ বছর বয়সী দুবাইয়ের বিলিয়নিয়ার জামাল আল নাদাককে।
বিয়ের সাত বছর আগে পড়াশোনা করার সময় থেকেই জামালের সঙ্গে সৌদির পরিচয়।
তখন থেকেই ফ্যাশন আর বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে টিকটক করতেন সৌদি। তাঁর বিয়ের আংটির দাম ১০ লাখ ডলার বা ১১৯ কোটি টাকা।
বিয়ের পর থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩০ হাজার ডলার বা ৩৫ লাখ টাকা খরচ করেন সৌদি।
সৌদি আল নাদাক নিজেই একটা ভিডিওতে তাঁর জীবনসঙ্গীর দ্বীপ কিনে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ছুটির দিনে প্রাইভেট জেটে দ্বীপে যান। ভিডিওতে ভক্তদের দ্বীপটি ঘুরিয়েও দেখান।
নাদাক বলেন, ‘আমার স্বস্তি আর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই দ্বীপটি কিনে দিয়েছে জামাল। এখানে আমাদের সহকারীদের একটা দল আছে। আমরা এখানে বেড়াতে এলে তাঁরা আমাদের দেখভাল করেন। অবশ্যই তাঁরা নারী।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই ‘গোল্ডডিগার (শুধু টাকা বা উপহারের লোভে পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক করে যে নারী)’ ট্যাগের শিকার হন সৌদি আল নাদাক।
নিন্দুকদের জবাব দিতেই এক ভিডিওতে বলেন, ‘বিলিয়নিয়ারের স্ত্রী হওয়া এত সহজ নয়। আমি কঠিন জীবনটাকে ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। এটা “২৪/৭” চাকরির মতো। খুব কম নারীর পক্ষেই সেগুলো মানিয়ে চলা সম্ভব।’
সৌদি এ-ও বলেন, ‘আপনারা আমাকে গোল্ডডিগার বলতেই পারেন। তবে ভেবে দেখুন, সে (জামাল) যদি আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আর এর ফলে যদি আমাদের বিচ্ছেদ হয়, ওর সব সম্পদ আমার হয়ে যাবে। প্রতারণা সমান সব সম্পদ হারিয়ে ফেলা। এভাবে আপনি কখনো নারীর ক্ষমতায়ন বা নারীবাদকে চিন্তা করে দেখেছেন?’
সৌদি আল নাদাকের জীবনসঙ্গী জামাল আল নাদাক ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকার মালিক।
সূত্র: খালিজ টাইমস