চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একটি কোর্স চালু হয়েছে।
‘ডিগ্রি’ সার্টিফিকেটের অধীনে এই কোর্সের মূল বিষয় ‘বিয়ে’।
মূলত চীনে বিয়ে ও জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে।
তরুণদের বিয়েতে আগ্রহী করে তোলাই এই কোর্সের অন্যতম লক্ষ্য।
বেইজিংয়ের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কোর্সটি চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চীনে যে হারে জন্মহার কমছে, তা অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
২০১৬ সালের পর থেকে চীনে শিশুজন্মহার কেবল কমছেই। এই জন্মহার কমার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বিয়ের প্রতি তরুণদের অনাগ্রহ।
বিয়েতে আগ্রহী করে তুলতে চীনের সরকার ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমে ‘বিয়ে’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা তারই সাম্প্রতিকতম সংযোজন।
বিয়েবিষয়ক এই কোর্সের নাম ‘ম্যারেজ সার্ভিসেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’।
এখানে বিয়ের প্রয়োজনীয়তা, পরিকল্পনা, কীভাবে নিজের জন্য সেরা সঙ্গী খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, অর্থনীতিতে বিয়ের গুরুত্ব, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে বিয়ের প্রভাব, সফল দম্পতির উদাহরণ, বিয়ে, ব্যক্তিজীবন ও পেশাজীবনের ভারসাম্য, সন্তানের প্রয়োজনীয়তা—ইত্যাদি বিষয় ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এমনকি দাম্পত্য সম্পর্কে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তাও এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত।
ইতিমধ্যে চীনের ১২টি প্রদেশের ৭০ জন তরুণ–তরুণী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘বিয়ে’ নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
মহামারির পর থেকে চীনে বিয়ের হার কিঞ্চিৎ বেড়েছে।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বেশি হয়েছে।
এর পেছনে রয়েছে মহামারিকালে একা বাস করার ‘ট্রমা’ ও সরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা।
সূত্র: গ্লোবাল টাইমস
সমস্ত ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া