যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদানের সঙ্গে ঘুমের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।
বিছানায় যাওয়ার আগে তাই সঠিক খাবার খেলে দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুম হবে গভীর।
কলায় আছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। পটাশিয়াম পায়ের পেশিগুলোকে শিথিল ও শান্ত করবে আর ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনবে। হজম ভালো করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে কলা।
প্রাকৃতিক চিনি মধু কিছুটা ইনসুলিন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যানের সঞ্চালেন সাহায্য করে। দেহঘড়ির হরমোন হিসেবে পরিচিত সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে ট্রিপটোফ্যান, যা আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী।
লেটুসে আছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটুক্যারিয়াম, যা ঘুমে সাহায্য করে। রাতে শোওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে কয়েকটি লেটুসপাতা ভিজিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে।
আখরোট ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। এতে ঘুম বাড়ানোর অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে, যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।
কাজুবাদামে আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও ট্রিপ্টোফান। এই দুটি উপাদানই স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে দেয়। মাথাব্যথা উপশম করতেও কাজুবাদাম খেতে পারেন।
ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে, ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে।
দুধে ট্রিপটোফ্যান এবং মেলাটোনিন আছে। ট্রিপটোফ্যান শরীরে সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে এবং সেরোটোনিন স্নায়ুকে শান্ত রাখে, দুশ্চিন্তা দূর করে। যার ফলে দ্রুত ঘুম আসে।
তথ্যসূত্র: ওয়েব এমডি, ছবি: পেক্সেলস ও আনস্প্ল্যাশ