>

দিল্লিতে মুগ্ধতা ছড়ালেন ঢাকার স্নিগ্ধা, কে এই মডেল

জীবনযাপন ডেস্ক

চার বছর ধরে পেশাদার মডেল হিসেবে কাজ করছেন স্নিগ্ধা চৌধুরী

উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে অর্থনীতি বিষয়ে ভর্তি হন রাজধানীর সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময়ই মডেলিংও শুরু। এর ভেতরেই শুরু হয় করোনাকাল।

ইয়েলো, এক্সট্যাসি, নাবিলা, হাউস অব আহমেদ, আমিরা ইত্যাদি প্রথম সারির বেশ কিছু ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গেই কাজ করেছেন স্নিগ্ধা।

প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র ‘নকশা’রও নিয়মিত মডেল স্নিগ্ধা। মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩–এর লালগালিচায় প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর ফ্যাশন।

এবারই প্রথম দেশের বাইরে শো করলেন ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার স্নিগ্ধা। ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল (আইএফডিসি) আয়োজিত গ্লোবাল ইন্ডিয়া কতুর উইকে (জিআইসিডব্লিউ) অংশ নেন বাংলাদেশের মডেল স্নিগ্ধা চৌধুরী।

১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর চলেছে ফ্যাশনের এই উৎসব। শেষদিন বেনারসি শাড়ি দিয়ে তৈরি লেহেঙ্গা পরে হাঁটেন স্নিগ্ধা।

স্নিগ্ধা ছিলেন ওই শোয়ের শো–স্টপার। স্নিগ্ধার আসেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় এই ফ্যাশন উইক। এই ফ্যাশন উৎসবে ভারতের নামকরা সব তারকা মডেলের সঙ্গে ক্যাটওয়াক করেন তিনি।

বাংলাদেশি ফ্যাশন ডিজাইনার আশিকুর রহমান পনিরের কোরিওগ্রাফিতে মুগ্ধতা ছড়ান এই আয়োজনে। এই ফ্যাশন ডিজাইনারের নকশা করা বেইভরি লেহেঙ্গাটি বেনারসি শাড়ি দিয়ে তৈরি। প্রথমে শাড়ি বানিয়ে তারপর লেহেঙ্গায় রূপ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে সময় লেগেছে ৪৫ দিন।

‘শ্বেত শ্যাম’ থিমের ওপর ভিত্তি করে সংগ্রহটি সাজিয়েছেন এই ফ্যাশন ডিজাইনার। বেনারসি, মসলিন ও খাদি দিয়ে তৈরি হয়েছে তাঁর সংগ্রহ।

স্নিগ্ধা বলেন, ‘এটা আমার জীবনের একটা বড় ঘটনা। কেননা, এই প্রথম দেশের বাইরে শো করলাম। এর আগে এত বড় শোতে আমি হাঁটিনি।’

বাংলাদেশি এই মডেল ভারতের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রশংসা করে সেখানে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।

স্নিগ্ধা মডেল হবেন—শুরুতে তাঁর পরিবারের কেউ এটা মেনে নেননি। কেননা, বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এখনো পেশাদার নয়। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রমাণ করছেন স্নিগ্ধা।

ভবিষ্যতে প্যারিস বা মিলান ফ্যাশন উইকে অংশ নেওয়ার স্বপ্ন দেখেন এই তরুণ মডেল।