>

কর্মক্ষেত্রের যে ১০ সত্য আপনার জানা থাকা দরকার

জীবনযাপন ডেস্ক

নতুন বছরের শুরুতেই কর্মক্ষেত্রের কিছু সত্যের ওপর আলো ফেলা যাক। এসব আপনার করপোরেট জীবনকে আরও ভালোভাবে বুঝে উঠতে সহায়তা করবে। কী সেই ১০ বাস্তবতা?

১. কঠোর পরিশ্রম যথেষ্ট নয়

আপনি কতটা পরিশ্রম করলেন, এর চেয়ে ঢের গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার কাজের ফলাফল কী। আপনি কী অবদান রাখতে পারছেন। কেননা, আপনি সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করলেই যে সবচেয়ে ভালো ফল আনেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সত্য নয়।

২. বস ইজ নট অলওয়েজ রাইট

‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’—কথাটি নিশ্চয়ই বহুবার শুনেছেন। তবে বস সব সময় সঠিক নন। নেতারাও ভুল করেন। এ রকম পরিস্থিতিতে আপনি সসম্ভ্রমে তাঁর ভুল ধরিয়ে দিন।

৩. প্রতিষ্ঠান মুনাফার প্রতি বিশ্বস্ত

আপনি প্রতিষ্ঠানের প্রতি শতভাগ ‘লয়্যাল’ বা বিশ্বস্ত হতেই পারেন। তবে মনে রাখবেন, প্রতিষ্ঠান কেবল মুনাফার প্রতি অনুগত। এখানে আপনি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা তৈরিতে কতটা অবদান রাখছেন, সেটিই মুখ্য।

৪. ‘কমফোর্ট জোন’ আপনার বিকাশ ব্যাহত করে

আপনি কি ‘কমফোর্ট জোন’ থেকে বের হতেই চান না? আপনার উন্নতি হওয়া কঠিন। নিজেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় না করালে আপনি নিজের মেধা, যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে পারবেন না।

৫. প্রত্যেকের বিকল্প আছে

আপনি যদি মনে করেন, প্রতিষ্ঠানের জন্য অমুকের কোনো বিকল্প নেই, সেটা ভুল। প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেকে প্রতিস্থাপনযোগ্য।

৬. ‘পারফেকশন’ আপনার গতি ধীর করে দেয়

আপনি কি পারফেকশনিস্ট? সবকিছু একেবারে নিখুঁত চান? মনে রাখবেন, আপনার এই স্বভাবের কারণেই আপনি পেছনে পড়ে যাচ্ছেন।

৭. কেউ আপনাকে সফলতা এনে দেবে না

কেবল পেশাজীবনেই নয়, নিজের সফলতার জন্য কখনোই অন্যের ওপর নির্ভরশীল হবেন না। আপনি নিজে ছাড়া, কেউই আপনাকে সফলতা এনে দেবে না।

৮. আপনার ‘জব টাইটেল’ একটা অস্থায়ী বিষয়

কীভাবে জব টাইটেল বদলাতে হবে, সে চিন্তা না করে আপনি নিজের কাজটা সর্বোচ্চ ভালোভাবে করে যান। নতুন নতুন প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন। সময়ের সঙ্গে নিজেকে আরও বেশি করে উপযোগী করে তুলুন। জব টাইটেলের চেয়ে আপনার কাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৯. কঠোর ‘ফিডব্যাক’ও উপহার

মনে রাখবেন, কঠোর অথচ সঠিক ফিডব্যাকও আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। পেশাগত জীবনে ‘ফিডব্যাক’, ন্যায্য সমালোচনা খুবই জরুরি।

১০. অফিসই জীবন নয়

‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’, অফিসের জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে দেবেন না। পেশাদার কাজে নিজের সব ‘এনার্জি’ খরচ করে ফেলবেন না। অফিসের বাইরেও আপনার একটা জীবন আছে, পরিবার আছে। আর সেটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অল্প প্রয়াসে কীভাবে অধিক অবদান রাখা যায়, প্রতিনিয়ত সেটি খুঁজে বের করাও একজন সফল পেশাদারের কাজ।