নিউজিল্যান্ডের সৈকতে গাড়িতে তোলা হয়েছে বিরল প্রজাতির মৃত তিমি
নিউজিল্যান্ডের সৈকতে গাড়িতে তোলা হয়েছে বিরল প্রজাতির মৃত তিমি

বিচিত্র

নিউজিল্যান্ডের সৈকতে পৃথিবীর বিরলতম তিমি

নিউজিল্যান্ডের ওটাগো প্রদেশের সৈকতে একটি অতি বিরল কোদাল–দাঁতের তিমির মৃতদেহ ভেসে এসেছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী তিমির এই প্রজাতি সম্পর্কে মানুষের হাতে খুব সামান্যই তথ্য আছে।

এখন পর্যন্ত কোদাল–দাঁতের কোনো তিমি জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। গত ৪ জুলাই ওটাগো প্রদেশের একটি নদীর মোহনার কাছে সৈকতে যে কোদাল–দাঁতের তিমির মৃতদেহটি ভেসে এসেছে, সেটি ৫ মিটার লম্বা।

নিউজিল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব কনজারভেশন ও দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম ‘টে পাপা’র সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিবিশেষজ্ঞরা এটিকে পুরুষ কোদাল–দাঁতের তিমি বলেছেন।

আরও তথ্য জানতে তিমিটির ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা।

ডিপার্টমেন্ট অব কনজারভেশনের কর্মকর্তা গ্যাবি ডেভিস গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আধুনিক সময়ে বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের যেসব প্রজাতি সম্পর্কে মানুষের হাতে সামান্য তথ্য আছে, তার একটি কোদাল–দাঁতের তিমি। এতে বলা হয়, ১৮ শতক থেকে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোদাল–দাঁতের মাত্র ছয়টি তিমির মৃতদেহ বা দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। সবই সৈকতে ভেসে আসা। এগুলোর একটি বাদে বাকি সবই নিউজিল্যান্ডে পাওয়া গেছে।’

তিমির এই প্রজাতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সর্বশেষ পাওয়া মৃতদেহটি যথেষ্ট তাজা আছে বলেও জানিয়েছে কনজারভেশন ডিপার্টমেন্ট। তারা বলেছে, ‘প্রজাতিটি এতই বিরল যে এটি সম্পর্কে যেটুকু তথ্য হাতে আছে, তা প্রায় না জানার শামিল।’

তিমির মৃতদেহটি বরফ করে রাখা হয়েছে এবং সেটির জেনেটিক নমুনা ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এসব পরীক্ষায় কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

১৮৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের সৈকতে প্রথম কোদাল–দাঁতের একটি তিমির দেহাবশেষ ভেসে এসেছিল। সেবার শুধু তিমির নিচের একটি চোয়াল এবং দুটি দাঁত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

তারপর নিউজিল্যান্ড ও চিলিতে এই তিমির কঙ্কালের কিছু টুকরো পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা তিমির নতুন একটি প্রজাতির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছিলেন।