বিশ্লেষণ

মিয়ানমার-রাশিয়া: গলায়–গলায় খাতিরের পরিণতি কী

ইস্টার্ন ইকোনোমিক ফোরাম ২০২২-এর ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ভ্লাদিভস্তক, রাশিয়া, ৭ সেপ্টেম্বর
ছবি: রয়টার্স

অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে পশ্চিমা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি জনসমর্থন পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। প্রথম মেয়াদে সু চি সামরিক জান্তার সঙ্গে ‘সহযোগিতামূলক সম্পর্ক’ রেখেই কাজ চালিয়ে যান। এর মধ্যে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সামরিক জান্তার তীব্র দমন-পীড়নের পরও সু চির নীরবতা দেখে মানবাধিকারকর্মীদের অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন, বিশেষ করে বিগত সময়ে যাঁরা তাঁকে সমর্থন দিয়ে এসেছিলেন।

ইস্টার্ন ইকোনোমিক ফোরাম ২০২২-এর ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ভ্লাদিভস্তক, রাশিয়া, ৭ সেপ্টেম্বর

সামরিক জান্তা গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সু চির সরকারকে উৎখাত করে জালিয়াতির নির্বাচন করার অভিযোগে। যদিও সে দেশের নির্বাচন কমিশন ও পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো ধরনের কারচুপি-জালিয়াতি হয়নি। সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর কমপক্ষে ২ হাজার ২০০ গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে তাতমাদো (ক্ষমতাসীন সশস্ত্র বাহিনী)। ফাঁসি দেওয়া হয়েছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একাধিক প্রাণপুরুষকে। সামরিক জান্তা প্রভাবিত আদালতে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গৃহবন্দী আছেন অং সান সু চি। সু চির বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। সব মিলিয়ে দেশটি এখন গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি। এমনিতেই দেশটিতে আরাকান আর্মিসহ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও তাদের তৎপরতার অভাব নেই। শোনা যাচ্ছে, এতে যুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রপন্থী কিছু গোষ্ঠীও।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৈঠক করছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মাং লুইনের সঙ্গে। গত ৩ আগস্ট মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির ওই সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই পশ্চিমারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির ওপর অর্থনৈতিক অবরোধের দেয়াল তুলে দেয়। যদিও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল আর পশ্চিমা অবরোধের মুখে বিচ্ছিন্ন হওয়া মিয়ানমারের জন্য একেবারেই নতুন ঘটনা নয়। আর মিয়ানমারও এতে যে খুব বিচলিত হয়েছে, তা-ও মনে হয় না। কারণ, দেশটি পশ্চিমাবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলেছে দাপটের সঙ্গে, বিশেষত চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে। এর মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে তাতমাদোর সম্পর্ক ঝালাই ও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

ক্রেমলিন ও নেপিডোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে উষ্ণতা এসেছে আরেকটি দিক থেকে। সেটা হলো, মিয়ানমারের পাশাপাশি রাশিয়াও পশ্চিমাদের কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে আছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে তাদের ‘অ্যাডভেঞ্চার’ শুরুর পর থেকে। অনেক কিছু হারিয়ে, বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশ দুটির মধ্যে এখন গলায়–গলায় সম্পর্ক।

মস্কোয় গার্ড অব অনার গ্রহণ করছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগো ও মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ২০২১ সালের ২২ জুন

আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, মিয়ানমারের যেমন রাশিয়াকে দরকার, তেমনই রাশিয়ারও প্রয়োজন মিয়ানমারকে। ক্ষমতা দখলের পর সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটি (এসএসি) গঠন করেছেন।

‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ নাম দিয়ে এই কমিটি এখন দেশ চালাচ্ছে, যদিও মিয়ানমারের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে কিছু নেই। আর তিনি নিজেকে ঘোষণা করেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী’, যদিও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাঁকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বলছে না। বলা হচ্ছে, জান্তা সরকারের প্রধান অথবা এসএসির চেয়ারম্যান। মিন অং হ্লাইং চাচ্ছেন, জাতিসংঘের স্বীকৃতি, আর তাতে যেন ভূমিকা রাখে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। এই এসএসি আগামী বছরের (২০২৩) আগস্টে সু চিসহ গণতন্ত্রপন্থীদের কারাগারে রেখে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন করতে চায়। এ নির্বাচন যাতে কিছুটা হলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়, সেই চেষ্টা এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল ওরফে প্রধানমন্ত্রী।

অপর দিকে অবরোধের মুখে পড়া রাশিয়াও চায় বন্ধু বাড়াতে, তার অস্ত্র সরঞ্জাম যত দূর সম্ভব বেশি বেশি বিক্রি করতে, ডুবতে বসা অর্থনীতির পালে যাতে খানিকটা হাওয়া লাগে।

সম্পর্কের ইতিহাস

১৯৪৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়। দুটি ভিন্ন মহাদেশ ও ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে চলে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে প্রথম বৈঠক হয় ১৯৫৫ সালে।

ওই বছর মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী ইউ নু সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যান। দুই মাসের মাথায় তৎকালীন সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ও নিকোলাই বুলগানিন মিয়ানমার সফর করেন। ১৯৬০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রুশ্চেভ পুনরায় মিয়ানমারে যান। তাঁর সফরের আগে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। অর্থাৎ মিয়ানমারের চাল যাবে সোভিয়েত ইউনিয়নে আর সোভিয়েত মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভবন তৈরি করে দেবে। সে অনুযায়ী রেঙ্গুন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, তুয়ানগি শহরে জেনারেল হাসপাতাল, ইয়াঙ্গুনে ইনিয়া লেক হোটেল বানিয়ে দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। এ ছাড়া দেশ দুটি মানুষে মানুষে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়কে গুরুত্ব দেয়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্যই রাশিয়ায় লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণের জন্য যান।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সম্পর্ক কিছুটা থিতিয়ে আসে। কারণ, বরিস ইয়েলেৎসিনের রাশিয়া তখন দূরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে কিছুটা কম গুরুত্ব দিয়েছিল। এরপর আবার সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে থাকে। ১৯৯৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মিয়ানমার একটি চুক্তি করে। ওই চুক্তিমতে ঠিক হয়, আন্তর্জাতিক যেকোনো ঘটনায় দুই দেশ আলোচনা করে পক্ষাবলম্বন করবে।

সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে

এবার সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করা যাক। গত দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে দুবার রাশিয়া সফর করেছেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। ক্ষমতা গ্রহণের পর মোট তিনবার রাশিয়া সফর করেছেন তিনি। এর মধ্যে একবার নাকি ‘ব্যক্তিগত’।

গত বছরের ২১ জুন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মস্কো সম্মেলনে যোগ দিতে যান মিন অং হ্লাইং। পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশ, ওই সফরে তাঁকে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লবণযুক্ত রুটির খাবার দিয়ে বরণ করা হয়নি। রুশ সংবাদ সংস্থা তাঁকে রাষ্ট্রের প্রধান না বলে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে খবর প্রচার করে। এ ছাড়া ওই সফরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনেরও সাক্ষাৎ পাননি। তবে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পেত্রোশেভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শুইগোসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকের সঙ্গে।

জুন (২০২১) মাসটিকে রাশিয়া ও মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২১ জুন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধানের রাশিয়া সফর নিছক একটি দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। এর তিন দিন আগে ১৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমারে অস্ত্রপ্রবাহ রোধবিষয়ক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। চীনের মতো রাশিয়াও ভোটদানে বিরত থেকে মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বন করে। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তিন দিনের মাথায় রাশিয়া সফর করেন সিনিয়র জেনারেল।

জুন (২০২১) মাসেই মিয়ানমারের বিমানবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মং মং কিউ রাশিয়া সফর করেন। ওই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে আরও একাধিক সফর হয়। এর আগে মার্চে গণতন্ত্রপন্থীদের হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময় সশস্ত্র বাহিনীর প্যারেডে ভারতসহ কয়েকটি দেশে প্রতিনিধি পাঠায় রাশিয়াও। কেবল তা-ই নয়, সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই মিয়ানমারে প্রতিনিধি পাঠিয়ে জান্তা সরকারকে স্বীকৃতি দেয় মস্কো।

এরপর এ বছরের জুলাইয়ে ব্যক্তিগত সফরে রাশিয়া যান মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেল। আগস্টের শুরুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মিয়ানমার সফর করেন। সামরিক জান্তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মাং লুইনের সঙ্গে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। দেখা করেন সিনিয়র জেনারেলের সঙ্গেও। লাভরভ বলেন, সামরিক জান্তা যেভাবে দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনতে চেষ্টা করছে, তাতে তাঁর দেশের সমর্থন আছে। মিয়ানমারকে ‘স্থায়ী বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে লাভরভ আশা প্রকাশ করেন, এসএসি আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও সফল হবে। লাভরভের ওই সফরের পর রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ঘোষণা দেয় মিয়ানমার।

সফল কূটনীতির ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পুনরায় রাশিয়ায় গেছেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এবার তিনি গেছেন রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভস্তকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে। তবে তাঁর উদ্দেশ্য রাশিয়ার সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ তৈরি করা।

সম্পর্কের পরিণতি

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার কাছ থেকে আনুমানিক দেড় বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে মিয়ানমার, যা দেশটির মোট অস্ত্র আমদানির ৩৯ শতাংশ।

মিয়ানমার রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর জাতিসংঘ ও মানবাধিকারকর্মীরা দেশটিকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম না দেওয়ার জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু একমাত্র রাশিয়া সে আহ্বানে কোনো তোয়াক্কা না করে দেশটিকে ড্রোন, জেট বিমান, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহ করে যাচ্ছে। আর ওই অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ওপর, স্বাধীনতাকামীদের ওপর।

বর্তমানে পরিস্থিতি শোচনীয়। বাংলাদেশ সীমান্তেও অতিসম্প্রতি উত্তেজনা বেড়েছে। মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার অন্তত দুইবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। সে দেশের মর্টারের গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভেতরে। খবরে প্রকাশ, আরাকান আর্মি হামলা চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রভূত ক্ষতিসাধন করেছে।

এ সময়ে যে দেশ মিয়ানমারের জান্তাকে সহায়তা করবে, তারাই নিন্দিত হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যত দ্রুত বিষয়টি বুঝবেন, ততই মঙ্গল। তবে বিপক্ষে যায়, এমন কোনো আহ্বানই মিয়ানমার ও রাশিয়া তোয়াক্কা করবে বলে মনে হয় না।

আসিয়ান যথেষ্ট চাপে রেখেছে সদস্যরাষ্ট্র মিয়ানমারকে। তারপরও জান্তা কাবু হচ্ছে না। একমাত্র মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী মানুষই পারেন নিজ দেশকে কক্ষপথে ফেরাতে। তখন নিশ্চিতভাবে রাশিয়াও তাদের কৌশল পরিবর্তনে বাধ্য হবে।


(সূত্র: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস, দ্য ডিপ্লোম্যাট, রয়টার্সসহ একাধিক সূত্রের তথ্য অবলম্বনে)
কাজী আলিম-উজ-জামান প্রথম আলোর উপবার্তা সম্পাদক
ই-মেইল: alim.zaman@prothomalo.com