ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। জবাবে পুতিনও ‘যত দ্রুত সম্ভব’ এই যুদ্ধের অবসান টানার আশ্বাস দেন।
উজবেকিস্তানে চলমান এসসিও আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে এই নেতা বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেওয়া বৈঠকের সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা যায়। আল–জাজিরার খবর
৮ দেশীয় জোট সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমরখন্দে পৌঁছান মোদি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং অন্য সদস্যদেশের নেতাদের সঙ্গে দলবদ্ধ ছবি তোলার মধ্য দিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি সম্মেলনে যোগ দেন।
মোদি পুতিনকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এই সময়টা যুদ্ধের সময় নয়। এ বিষয়ে ফোনেও আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, কূটনীতি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্ব এক হয়ে থাকতে পারে।
জবাবে পুতিন ইউক্রেনকে দায়ী করে বলেন, কিয়েভ আলোচনাকে অগ্রাহ্য করেছে এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়েও নিজেদের লক্ষ্য অর্জন হবে বলে অবস্থান নিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমি আপনার (মোদি) অবস্থান জানি। আপনার উদ্বেগও জানি, যা আপনি ক্রমাগত প্রকাশ করেছেন।’
পুতিন বলেন, ‘এই যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে যা করণীয় তার সবই আমরা করব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপর পক্ষ অর্থাৎ ইউক্রেনের নেতৃত্ব আলোচনায় প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখান করেছে এবং বলেছে সামরিক উপায়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।’
স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে নয়াদিল্লি ও মস্কোর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং রাশিয়া এখনো পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
গত ফেব্রুয়াতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ এখন রাশিয়ার হাতে।
মস্কো বলেছে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা আগ্রাসনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে এবং রুশ ভাষাভাষীদের রক্ষা করার জন্য তাদের ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ প্রয়োজন ছিল।
কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এই যুক্তিগুলোকে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের ভিত্তিহীন অজুহাত হিসেবে খারিজ করে দিয়েছে এবং রাশিয়াকে তাদের বক্তব্য নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়।