জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯।

জলবায়ু চুক্তি ঘিরে এখনো বিভাজন, অসন্তোষ

আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সময়সীমা শেষ হয়ে এল। ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এ সম্মেলন আজ ২২ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সম্মেলন ঘিরে এখনো কোনো সমঝোতা ও ঐক্য দেখা যায়নি। জলবায়ু তহবিল নিয়ে বৈশ্বিক চুক্তির একটি প্রস্তাব ঘিরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাজন ও অসন্তোষের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। নতুন প্রস্তাবে যে বিকল্পের কথা বলা হয়েছে, তা কাউকে খুশি করতে পারেনি।

জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯–এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী ও উন্নত দেশগুলো কত অর্থ দিতে সম্মত হবে, তার একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু বাকুতে ১০ দিন ধরে এ চুক্তির গতি খুব ধীরে এগিয়েছে। এ চুক্তির দর–কষাকষির সর্বশেষ খসড়া যে সময়ে প্রস্তুত হওয়ার কথা, তার চেয়ে দেরিতে তৈরি হয়েছে।

আজ শুক্রবার সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর সময়সীমা বাড়তে পারে। কারণ, নতুন নথিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রশ্নের এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। বিশেষ করে বার্ষিক কত অর্থ প্রয়োজন হবে, এ অর্থ কে  দেবে, কত অর্থ দেবে ইত্যাদি বিষয় এখনো অজানা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু কমিশনার ওপকে হোয়েকস্ট্রা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে নথি আছে, তা ভারসাম্যহীন, কাজের যোগ্য নয় এবং অগ্রহযোগ্য।’ তিনি ক২৯–এর প্রেসিডেন্ট আজারবাইজানের কাছ থেকে আরও নেতৃত্বের ভূমিকার কথা বলেন।

এর আগে অর্থনীতিবিদেরা জানিয়েছিলেন যে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জি–২০ সম্মেলন শেষে বাকুতে ফিরে বলেছেন, সম্মেলন ব্যর্থ হওয়াটা কোনো বিকল্প নয়।

কপ২৯–এর প্রেসিডেন্টের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে খসড়ার পক্ষে অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাব সংশোধন করে রাতে আবার প্রকাশ করা হবে। এটি আরও সংক্ষেপ করা হবে এবং ঐকমত্য সৃষ্টিতে সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যা বসানো হবে।