দুই বছর কানাডায় বাড়ি কিনতে পারবেন না বেশির ভাগ বিদেশি

কানাডার পতাকা
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

কানাডায় বিদেশিদের আবাসিক স্থাপনার মালিকানা কেনার ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞাটি গতকাল রোববার কার্যকর হয়েছে। আবাসনসংকটে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বাড়িঘর সহজলভ্য করতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির

‘প্রহিবিশন অন দ্য পারচেজ অব রেসিডেনসিয়াল প্রোপার্টি বাই নন-কানাডিয়ানস অ্যাক্ট’ নামের আইনটিতে অবশ্য বেশ কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। এ ব্যতিক্রমের আওতায় উদ্বাস্তু ও কানাডার স্থায়ী বাসিন্দারা (যাঁরা নাগরিক নন) বাড়ি কিনতে পারবেন। ডিসেম্বরের শেষের দিকে কানাডা কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে আরও বলেছে, শুধু বাড়ি কেনার ক্ষেত্রেই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সামার কটেজের (গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন কেন্দ্র) মতো বিনোদনমূলক আবাসন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে না।

২০২১ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলার সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুই বছরের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেন। তখন ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়ির মালিকানা কেনাটা অনেক কানাডীয় নাগরিকের নাগালের বাইরে ছিল। ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভের পর লিবারেলরা ‘প্রহিবিশন অন দ্য পারচেজ অব রেসিডেনসিয়াল প্রোপার্টি বাই নন-কানাডিয়ানস অ্যাক্ট’ নামের আইনটি প্রণয়ন করেন।
ভ্যানকুভার ও টরন্টোর মতো বড় বাজারগুলোতেও নন-রেসিডেন্ট (স্থায়ী বাসিন্দা নন) এবং ফাঁকা বাড়িঘরের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে।

কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরুতে বাড়ির গড় মূল্য ৮ লাখ কানাডীয় ডলারের (৬ কোটি ৭ লাখ টাকা) চেয়ে বেশি ছিল। গত মাসে তা কমে ৬ লাখ ৩০ হাজার কানাডীয় ডলারে (৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) দাঁড়িয়েছে।

কানাডার জাতীয় জরিপ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বিদেশিদের মালিকানায় থাকার ঘরবাড়ির সংখ্যা ৫ শতাংশের কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে স্থানীয়দের কাছে বাড়িঘর সহজলভ্য করার যে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তাতে খুব একটা লাভ হবে না। তার চেয়ে বেশি করে বাড়িঘর নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

জাতীয় আবাসন সংস্থা দ্য কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ আবাসনের প্রয়োজন।

এর মানে হলো, অবশ্যই নতুন করে ৫৮ লাখ বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। দ্য কানাডা মর্টগেজ অ্যান্ড হাউজিং করপোরেশন আরও বলেছে, ওই চাহিদা পূরণে ৩৫ লাখ আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।