মালদ্বীপ পারে, লাইবেরিয়া পারে, আমরা কেন পারি না

দুর্নীতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থা, ক্ষমতার অপব্যবহার, জঙ্গিবাদের উত্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে মালদ্বীপের সঙ্গে আমাদের মিল রয়েছে। গোষ্ঠী–শ্রেণিতে বিভক্ত দরিদ্র দেশ লাইবেরিয়ায় ২০–২৫ বছর গৃহযুদ্ধ হয়েছে। সম্প্রতি এই দুই দেশে নির্বাচন হয়ে গেল। ক্ষমতাসীন প্রার্থীরা নির্বাচনে হেরেও নিঃসংকোচে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই গণতন্ত্রের পথে আমরা অনেক পিছিয়ে।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু ও লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাই

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সেখানে সম্প্রতি নির্বাচন হয়ে গেল। লাইবেরিয়া আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ। সেখানেও গত সপ্তাহে নির্বাচন হলো। উভয় নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলকে পরাজিত করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। টুকটাক সংঘর্ষ যে হয়নি তা নয়, কিন্তু মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই দুই দেশে নির্বাচন হয়েছে। বড় রকমের কোনো কারচুপি হয়েছে, এমন কথাও কেউ বলেনি।

সবচেয়ে বিস্ময়ের কথা, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন হওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের প্রার্থীরাই নির্দ্বিধায় ফলাফল মেনে নিয়েছেন। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) নেতা ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ কারচুপির অভিযোগ আনার বদলে নির্বাচনী ফলাফলে তাঁর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

বলেছেন, ‘আমাদের অপূর্ব গণতান্ত্রিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা সফল হয়েছে।’ এ তো গেল মালদ্বীপের কথা। আরও বিস্ময়ের কথা বলেছেন লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়া। নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি হেরেছি, কিন্তু জিতে গেল লাইবেরিয়া।’

এই দুই দেশের কোনোটাকেই আমরা ঠিক গণতন্ত্রের বরপুত্র বলে ভাবি না। রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিভেদ দুই দেশেই লেগে আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের প্রতি অবিশ্বাসও প্রবল। দুই দেশেই রাজনীতির কেন্দ্রে দলের চেয়ে ব্যক্তির (অর্থাৎ নেতার) প্রাধান্য। দারিদ্র্য ও অনুন্নয়ন এদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। অথচ গণতন্ত্র নামক যে পরীক্ষা–নিরীক্ষায় এই দুই দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করলেন, বলতে দ্বিধা নেই—তাঁরা উভয়েই আমাদের অনায়াসে টেক্কা দিলেন। আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত কেউ নির্বাচনে হেরে বলেনি, আমি হেরেছি তো কী হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় তো হলো।

মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল

মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। ভৌগোলিকভাবে দুই দেশের অবস্থান কাছাকাছি এবং দুই দেশই দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য। এখানেই শেষ নয়, মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশের ঘাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে ঘন ঘন গরম নিশ্বাস ফেলছে দুই অতিকায় প্রতিবেশী—ভারত ও চীন। উভয়ের জন্যই প্রধান চ্যালেঞ্জ, এদের কাউকে না চটিয়ে টিকে থাকা। সেই কাজ করতে এরা কখনো আস্তিনে গোঁজা ‘চীনা তাস’ ব্যবহার করে, আবার কখনো টেবিলের নিচে ধরে রাখা ‘ভারতীয় পাশার’ চাল দেয়।

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চরিত্রও কার্যত অভিন্ন। স্বাধীন দেশ হিসেবে মালদ্বীপের বয়স ৫৮, বাংলাদেশের ৫২। দুর্নীতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থা, ক্ষমতাসীন মহলের ক্ষমতার অপব্যবহার, ইসলামিক জঙ্গিবাদের উত্থান এবং রাজনৈতিক মতপ্রকাশে বাধা–বিপত্তি—এসবই উভয় দেশের পরিচিত অভিজ্ঞতা। গণতন্ত্র, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউসের বিবেচনায় মালদ্বীপ ‘অংশত মুক্ত’। রাজনৈতিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে দেশটি ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে মোট ৪১ নম্বর।

বাংলাদেশও এই সংস্থার হিসাবে ‘অংশত মুক্ত,’ সে নম্বর পেয়েছে মোট ৪০।

ফ্রিডম হাউসের সাহায্য নিয়েই মালদ্বীপের রাজনৈতিক বাস্তবতার চিত্রটি আরেকটু খতিয়ে দেখা যাক। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে এরা লিখছে, ২০১৮ সালের যে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন পরাজিত হন, সেই নির্বাচনে তাঁকে জেতাতে সরকারি অর্থের ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের হাতে বিরোধী রাজনীতিকদের হেনস্তা করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাঁকে জেতাতে নানা রকম কারসাজির আশ্রয় নিয়েছিল।

২০২১ সালে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইয়ামিনকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন সে দেশের আদালত। আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ নাশিদ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মনগড়া অভিযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য বলে ঘোষিত হন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে জেতেন বিরোধী রাজনীতিক ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।

ফ্রিডম হাউসের আয়নায় বাংলাদেশ

এবার ফ্রিডম হাউসের আয়নায় বাংলাদেশে ওই ছবি দেখা যাক। ক্ষমতাসীন দল প্রতিপক্ষকে হেনস্তার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে সংহত করে চলেছে। হেনস্তার শিকার হয়েছে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ। নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অথচ দুর্নীতিবিরোধী অভিযান রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে অকার্যকর হয়ে রয়েছে। বিনা বাধায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ ও রাজধানী মালের মেয়র মোহামেদ মুইজ্জু। দুর্নীতি, অদক্ষতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি তো ছিলই, কিন্তু এসব ছাপিয়ে যে বিষয়টি এই নির্বাচনে মুখ্য হয়ে উঠেছে, তা হলো মালদ্বীপের ওপর ভারত বনাম চীনের প্রভাব। কৌশলগত ও অর্থনৈতিক কারণে এই দেশের ওপর অনেক দিন ধরেই ভারত ও চীন উভয়ের শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে।

সলিহ ভারতপন্থী, তাঁর স্লোগান ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’। পাঁচ বছর আগে তাঁর বিজয়ের পেছনে ভারতের একটি প্রচ্ছন্ন ভূমিকা ছিল বলে অনেকেই বলে থাকেন। মালদ্বীপের অর্থনীতিতে ভারতের প্রভাব প্রবল, ভারতের ওপর তার নির্ভরশীলতাও প্রবল। সলিহের আমলে এই প্রভাব আরও বেড়েছে। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের যে খুব পরিবর্তন হয়েছে, তা নয়। সলিহের ভারতনির্ভরতা মালদ্বীপের মানুষ পছন্দ করেননি।

এর আগে আবদুল্লাহ ইয়ামিন মালদ্বীপকে চীনমুখী করার চেষ্টায় ছিলেন, বেইজিং থেকে মোটা অঙ্কের উন্নয়ন ঋণও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মেটেনি। সলিহ এসে চাকা ঘুরিয়ে ভারতমুখী করলেন, আবারও সেই একই ফল। দেশের মানুষ ভারতবিরোধী হয়ে উঠলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মুইজ্জুর প্রধান স্লোগানই ছিল ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ‘ভারত হটাও’।

নির্বাচনের আগে কথার যুদ্ধ বিস্তর হলেও ফলাফল ঘোষণার পর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই সে ফলাফল সানন্দে মেনে নিয়েছেন। সলিহের প্রতিক্রিয়া খুবই আগ্রহোদ্দীপক। এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জনগণ ও সমর্থকদের উদ্দেশে লেখা বার্তায় বলেন, ‘দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রের বিজয়ে এর চেয়ে বড় আর কী প্রমাণ চাই।’ একই কথা বলেছেন বিজয়ী প্রার্থী মুইজ্জু। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের মানুষ স্পষ্টভাবে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁরা চান আর্থিক উন্নয়ন ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের।’

লাইবেরিয়ায়ও জিতেছে গণতন্ত্র

গণতান্ত্রিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার হিসেবে লাইবেরিয়ার সাফল্য মালদ্বীপের চেয়ে বেশি বিস্ময়কর। আফ্রিকার দরিদ্র এই দেশ গত শতাব্দীর শেষ ২০-২৫ বছর রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের মধ্যে কাটিয়েছে। সেই গৃহযুদ্ধে দেশের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গোত্র ও শ্রেণিবিভক্ত দেশটিতে ২০০৩ সালে মোটের ওপর শান্তি ফিরে পেলেও রাজনৈতিক হানাহানি ঠিক বন্ধ হয়নি।

১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনেক প্রার্থীই ছিলেন। তবে আসল লড়াইটা হয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় জর্জ উইয়া এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাইয়ের মধ্যে। খুব সামান্য ব্যবধানে হলেও নির্বাচনে জিতে যান বোয়াকাই। ২০১৭ সালে এই উইয়ার কাছেই বড় ব্যবধানে ধরাশায়ী হয়েছিলেন বোয়াকাই।

দুই প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১ শতাংশের কম, বোয়াকাই পান ৫০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, উইয়া পান ৪৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। মোট ভোটের হিসাবে তাঁদের দুজনের মধ্যে ফারাক মাত্র কয়েক হাজার। উইয়া অনায়াসেই এই নির্বাচনী ফলাফলের বিরোধিতা করতে পারতেন, ভোট চুরির অভিযোগ আনতে পারতেন। অনিয়মের কথা বলে আবার ভোট গণনার দাবিও তুলতে পারতেন। কিন্তু উইয়া কিছুই করেননি, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি পরাজয় স্বীকার করে নেন।

সেদিন সন্ধ্যায় এক বেতার ভাষণে নিজের পরাজয় স্বীকার করে উইয়া বলেন, ‘এখন সময় উদার হওয়ার, এখন সময় দলের ঊর্ধ্বে দেশকে স্থান দেওয়ার। আমি হেরেছি, কিন্তু জিতেছে লাইবেরিয়া, জিতেছে গণতন্ত্র।’

আমরাও কি পারি না

তৃতীয় বিশ্বের খুব কম দেশই আছে, যেখানে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কথা–কাটাকাটি, বাগ্‌বিতণ্ডা হয় না। আফ্রিকার একাধিক দেশে নির্বাচনে হারের পর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টাও আমরা দেখেছি। নির্বাচনী ফলাফলের অসন্তুষ্টি নিয়ে সামরিক অভ্যুথানের ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে মালদ্বীপ ও লাইবেরিয়ার মতো দেশে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের আশান্বিত করে।

এমন ঘটনা কি বাংলাদেশেও সম্ভব

আমাদের দেশে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে অবরোধ–হরতাল। সরকার ও ক্ষমতাসীন মহল বিরোধীদের প্রতিবাদকে ‘শক্ত হাতে’ দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফল দাঁড়িয়েছে এই, এখন সরকার ও বিরোধী পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিয়েছে। সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তেও কেউ রাজি নয়, তাতে দেশ গোল্লায় যায় যাক, তাতেও আপত্তি নেই। জানমালের ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই, তার চেয়ে বড় ভয় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। তৈরি পোশাকশিল্পে ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৩ শতাংশ রপ্তানি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে গেলে যে কেউ এমন তথ্য দেখতে পারবেন।

এই মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলে শুধু অর্থনীতি নয়, সুস্থ গণতন্ত্রের পথে আমাদের যাত্রাও বিপদগ্রস্ত হতে পারে। গত দুই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে-বাইরে অনাস্থার প্রকাশ আমরা দেখেছি। এখন পর্যন্ত যে আলামত মিলেছে, তাতে একই যাত্রায় ভিন্ন ফল হবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। বিরোধী দলগুলো ছাড়া দেশে–বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে হয় না। অব্যাহত রক্তপাত ও রাজনৈতিক অবিশ্বাসের বাতাবরণে আর যা–ই হোক, সুস্থ ও আস্থাপূর্ণ গণতন্ত্রের পথে এগোনো যাবে না।

দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই আত্মঘাতী লড়াই এ কথাই প্রমাণ করে যে আমাদের রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে যতটা ভালোবাসেন, দেশকে ততটা নয়। মালদ্বীপ ও লাইবেরিয়ার মতো দেশের রাজনীতিকেরা নিজেদের স্বার্থপরতা সরিয়ে রেখে দেশের স্বার্থে সমঝোতায় আসতে পারেন। আমরা পারি না কেন?