বিশ্ব ঘুরে আসে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছু। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই হয় ইতিহাসে। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ২৫ এপ্রিল। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিজ ডে : আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন ইউএসএস ট্রিটন বিশ্ব পরিভ্রমণ করে

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিন ইউএসএস ট্রিটন। এই জলযান সমুদ্রের তলায় ভেসে ভেসে বিশ্ব পরিভ্রমণ করেছে। ৬৬ হাজার ৬৭২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে মাত্র ৮৫ দিনে। ১৯৬০ সালের এই দিনে সাবমেরিনটি বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিযান শেষ করে। অভিযানের নাম ছিল অপারেশন স্যান্ডব্লাস্ট। সাবমেরিনটিতে দুটি পারমাণবিক চুল্লি ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সাবমেরিন ইউএসএস ট্রিটন।

মুসোলিনির পতন

ইতালির একনায়ক ছিলেন বেনিতো মুসোলিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন মুসোলিনি। ১৯৪৬ সালের এই দিনে ইতালিতে পতন হয় মুসোলিনির। প্রতিবছর দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে ইতালিবাসী।

জার্মান একনায়ক এডলফ হিটলারের (ডানে) পাশে ইতালির একনায়ক মুসোলিনি

যুদ্ধে প্রথমবার হামলায় অংশ নেয় হেলিকপ্টার

তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ১৯৪৪ সালের এই দিনে সম্মুখযুদ্ধের সময়ে আহত চারজন মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাকে উদ্ধার করতে একটি শিকোরস্কি ওয়াইআর–৪৮ হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। ঘটনাক্রমে উদ্ধারকারী আকাশযানটি হামলায় অংশ নেয়। এর আগে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ঘটনা দেখেনি বিশ্ববাসী। এটাই প্রথম।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৪ সালে হামলায় প্রথমবার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়

প্রকাশিত হয় রবিনসন ক্রুশো

ব্রিটিশ লেখক ড্যানিয়েল ডিফোর কালজয়ী উপন্যাস ‘রবিনসন ক্রুশো’। একজন নাবিক জাহাজ ভেঙে সমুদ্রে ভেসে যান। প্রাণে বাঁচলেও নির্জন দ্বীপে একাকী ২৮ বছর কাটাতে হয় তাঁকে। এই বেঁচে থাকার অভিযানের গল্প ১৭১৯ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে উপন্যাসটি শতাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে।