ভারতীয় দুজন গুপ্তরচরকে বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০২০ সালে সেই ঘটনা ঘটেছিল। যদিও ওই ঘটনার পরও দিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বলে আসছে দেশটি।
গত সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টে এ–সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গুপ্তচরদের বহিষ্কারের বিষয়টি জানাজানি হয়।
অবশ্য ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান জানিয়েছিলেন, ওই দুই বিদেশি গুপ্তচর কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তবে তিনি দুই গুপ্তচরের জাতীয়তা প্রকাশ করেননি।
বছর তিনেক আগে এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশনের প্রধান মাইক বুরগিস বলেছিলেন, ২০২০ সালে বিদেশি গুপ্তচরেরা বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন রাজনীতিবিদ, একটি বিদেশি দূতাবাস এবং রাজ্য পর্যায়ের পুলিশ পরিষেবাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। এ ছাড়া তারা নিজ দেশের প্রবাসীদের ওপরও নজর রাখছিল।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুজন ভারতীয় গুপ্তচর ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। তবে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে আগ্রহী।
অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চালমার্স আজ বুধবার সংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এসব গালগল্পে ঢোকার কথা কখনোই বলব না।’
ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জিম আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার ফলে দুই দেশ অনেকটা কাছাকাছি এসেছে।’