এই বারান্দা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে
এই বারান্দা ভাড়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে

বারান্দার ভাড়া ১,১৪,০০০ টাকা

বিজ্ঞাপনটি দেখে যে কারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে। কোনো বাসা বা কক্ষ নয়, একটি বাসার বারান্দা ভাড়া হবে। তাও আবার সেই বারান্দার ভাড়া মাসে ধরা হয়েছে ৯৬৯ মার্কিন ডলার (১ লাখ ১৪ হাজার প্রায়—১ ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে)। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এক বাড়ির মালিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে বারান্দা এমনই ভাড়া চেয়ে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

বাড়িটি হচ্ছে সিডনির শহরতলি হে মার্কেট এলাকায়। বলা হচ্ছে, এই বারান্দায় দিনে রোদ পাওয়া যাবে। এখানে একজন ব্যক্তি থাকতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, বারান্দায় একটি খাট আছে। বারান্দার এক পাশে দেয়াল আর বাইরের দিকে কাচে ঘেরা। ভেতরে একটি বড় আয়না রয়েছে। আর মেঝে টাইলস করা।

বারান্দার সঙ্গে বাসার ভেতরে ঢুকতে কাচের স্লাইডিং দরজা (একদিকে টেনে খুলতে হয়) রয়েছে। বাড়ির মালিক বলছেন, বারান্দাটি ভাড়াটিয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। বারান্দার সাপ্তাহিক ভাড়ার সঙ্গে অন্যান্য বিলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বারান্দার সঙ্গে দুটি কক্ষ রয়েছে। কক্ষ দুটি আলাদাভাবে ভাড়া দেওয়া হবে, যার সাপ্তাহিক ভাড়া ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০০ ডলার (প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা)। এতে আবার বিল দিতে হবে আলাদা। ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পর্যাপ্ত বাথরুম রয়েছে। এখনই ভাড়া নেওয়ার প্রস্তুতি নিন। এখান থেকে যেকোনো জায়গায় যাতায়াত সহজ।’

এই বিজ্ঞাপন দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা মজার মজার মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘দারুণ দৃশ্য।’ আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আপনার মঙ্গল হোক। আপনার মাথা খারাপ নাকি!’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘দারুণ, এখানে অনেক আলো পাওয়া যাবে।’

৯ নিউজ ডটকমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিডনিতে ব্যাপক চাহিদা ও সীমিত বাড়ির কারণে বাড়িভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সিডনিতে মাঝারি মানের বাড়িভাড়া গত জুনে রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। সপ্তাহে ৭৫০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঠেকেছে ভাড়া।

কম সুদহার, আগের তুলনায় ভালো অর্থনীতি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সিডনিতে বাড়িভাড়া বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ভাড়া বাড়ার কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। অনেক বাসিন্দা বাড়িভাড়ার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, যার ফলে তাঁদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে এবং আবাসন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।