মাওরি ভূখণ্ডে ব্রিটিশ বাহিনী

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে। স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১২ জুলাই। ফিরে দেখা যাক উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

ব্রিটিশ বাহিনী নিউজিল্যান্ডে মাওরি ভূখণ্ড দখল করে নেয়

নিউজিল্যান্ডের অন্যতম পুরোনো জাতিগোষ্ঠী হলো মাওরি। নিউজিল্যান্ড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মাওরি জনগোষ্ঠীর বসবাস। সময়টা ১৮৬৩ সালের ১২ জুলাই। নিউজিল্যান্ডে মাওরিদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ব্রিটিশ বাহিনী। দখল করে নেয় ‘মাওরিল্যান্ড’।

২০১৮ সালের আদমশুমারির তথ্যমতে নিউজিল্যান্ডে প্রায় পৌনে আট লাখ মাওরি বাস করছে। অস্ট্রেলিয়ায় মাওরির (২০২১) সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই লাখ। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায়ও কিছু মাওরি রয়েছে।

প্রথমবার চরকার প্রচলন

তুলা থেকে সুতা বোনার কাজে ব্যবহার করা হয় চরকা। যুক্তরাজ্যে প্রথম হস্তচালিত চরকার (স্পিনিং জেনি নামে পরিচিত ছিল) প্রচলন হয়। উদ্ভাবন করেন জেমস হারগ্রেভেস। ১৭৭০ সালের ১২ জুলাই নিজের উদ্ভাবিত চরকার স্বত্ব পান তিনি। তাঁর এই উদ্ভাবন শিল্পবিপ্লবের সমৃদ্ধির পথে ব্রিটেনকে এক ধাপ এগিয়ে দেয় বলে মনে করা হয়।

বাংলায় মোগল সুবেদারি প্রতিষ্ঠা

বাংলায় কররানি রাজত্বের সর্বশেষ শাসক ছিলেন সুলতান দাউদ খান কররানি। ১৫৭৬ সালের এই দিনে তাঁর সঙ্গে মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি খান-ই-জাহান হোসেন কুলি বেগের যুদ্ধ হয়। ইতিহাসে এই লড়াই ‘রাজমহলের যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে দাউদ খান কররানি পরাজিত ও নিহত হন। এর মধ্য দিয়ে কররানি রাজবংশের পতন হয়। বাংলা মোগল সাম্রাজ্যের একটি সুবা বা প্রদেশে পরিণত হয়।

যদিও ইশা খাঁর নেতৃত্বে বারো ভূঁইয়ারা দিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখেন। এর ফলে বাংলা তখনো পুরোপুরিভাবে মোগলদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই

মালালার জন্মদিন আজ

মালালা ইউসুফজাই ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় পশতুন জাতিগোষ্ঠীর এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তালেবানের বাধার পরও নারীদের শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাওয়ায় ২০১২ সালে জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। চিকিৎসার জন্য তাঁকে যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবারসহ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

বর্তমানে নারীশিক্ষার বিস্তারে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন মালালা। ২০১৪ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে ভারতের কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন মালালা। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করে।

মালালার নামে জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবস রয়েছে। ২০১৩ সালের ১২ জুলাই তাঁর ১৬তম জন্মদিনে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।