ইতিহাসের এই দিনে: চীনের একমাত্র সম্রাজ্ঞীর অভিষেক

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচন ঘটে অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। রোজকার সব ঘটনা কি আমরা মনে রাখি? তবে কিছু বিষয় স্থায়ীভাবে দাগ কাটে মানুষের মনে, কিছু ঘটনা ইতিহাসের পাতায় উঠে যায়। তেমনই কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ১৭ অক্টোবর। চলুন দেখি, বিশ্বে এদিন কী কী বড় ঘটনা ঘটেছিল। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

শিল্পীর তুলিতে চীনা শাসক উ জেতিয়ান
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

উ জেতিয়ান—চীনের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র নারী শাসক। ৬৯০ সালের ১৭ অক্টোবর সিংহাসনে বসেন চীনা তাং সাম্রাজ্যের এই সম্রাজ্ঞী। এর আগে স্বামী ও ছেলেকে সামনে রেখে পেছন থেকে সাম্রাজ্য চালিয়েছেন তিনি। জেতিয়ানের শাসনামলে অর্থনীতিতে বেশ সমৃদ্ধি ঘটে। এ ছাড়া সাম্রাজ্য বিস্তারেও অবদান রেখেছিলেন সম্রাজ্ঞী জেতিয়ান।

সবচেয়ে ‘লম্বা’ স্যান্ডউইচ

২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর। ইরানের রাজধানী তেহরানে বানানো হয় বিশাল একটি স্যান্ডউইচ। দাবি করা হয়, এটা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা স্যান্ডউইচ। মজার বিষয় হলো, বানানোর পর এটা মেপে দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি কেউ। গপাগপ খেয়ে ফেলা হয় বিশালাকারের স্যান্ডউইচটি।

জলবায়ুযোদ্ধাদের বিক্ষোভ

অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল কয়লাবন্দরে জলবায়ুযোদ্ধাদের বিক্ষোভ

২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল কয়লাবন্দরে বিক্ষোভ হয়। নৌকা চালিয়ে গিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টি ক্ষুদ্র দ্বীপদেশের পরিবেশবাদীরা। তাঁরা ওই বন্দরে কয়লাবাহী জাহাজ অবরোধ করেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে ঝুঁকির মুখে থাকা এসব দেশের সক্রিয় ‘জলবায়ুযোদ্ধারা’ মানুষকে সচেতন করার অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ করেছিলেন।

টেলিস্কোপ ছাড়াই সুপারনোভা দেখা

জার্মানির জ্যোতির্বিদ জোহানেস কেপলার ১৬০৪ সালের এদিনে দারুণ এক কীর্তি গড়েন। তিনি এসএন-১৬০৪ নামের একটি সুপারনোভা পর্যবেক্ষণ করেন। অবাক করা বিষয় হলো, তিনি পুরোপুরি খালি চোখে (টেলিস্কোপ ছাড়াই) সুপারনোভাটি দেখেছিলেন। এটি সৌরজগতের সর্বশেষ সুপারনোভা হিসেবে পরিচিত।