যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির এক নারী থ্রিফটের একটি দোকান থেকে মাত্র ৩ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার দিয়ে ফুলদানি কিনেছিলেন। দেখতে কিছুটা পুরোনো মনে হলেও তিনি ভেবেছিলেন, ২০ থেকে ৩০ বছর আগের হবে হয়তো। পরে জানা গেল, ১ হাজার থেকে ২ হাজার বছরের পুরোনো এই শিল্পকর্ম।
আন্না লি ডোজিয়ার বলেন, তিনি লক্ষ করেন, ফুলদানিটি ‘মেক্সিকোর তৈরি’। মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ক্লিনটনে থ্রিফটের দোকানে গিয়ে যখন তিনি এটি দেখেন, তখন এটি বেশ পুরোনো দেখাচ্ছিল।
ডোজিয়ার আরও বলেন, ‘কাজের খাতিরে আমাকে মেক্সিকোতে বেশ যেতে হয়। দোকানের তাকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে ফুলদানিটি দেখার পরই আমার কাছে আলাদা মনে হচ্ছিল।’
ডোজিয়ার মানবাধিকার সংগঠন খ্রিষ্টান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইডে কাজ করেন। কাজের সুবাদে তিনি গত জানুয়ারিতে মেক্সিকো সিটির ন্যাশনাল মিউজিয়াম অ্যানথ্রোপলজি ঘুরতে যান। তখনই তাঁর মাথায় কিছু একটা ভাবনা আসে।
ডোজিয়ার বলেন, ‘আমি যখন জাদুঘরে ঘুরছিলাম, তখন আমার মনে হলো, আমার বাসায় যে ফুলদানি রয়েছে, ঠিক সেই রকম জিনিস এখানে রয়েছে।’
জাদুঘরের এক কর্মকর্তার কাছে ডোজিয়ার জানতে চান, তাঁর কাছে যদি কোনো ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম থাকে, তাহলে সেটি তাঁর কী করা উচিত। ওই কর্মকর্তা তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পর মেক্সিকোর দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত মেক্সিকোর দূতাবাস ইতিমধ্যে ডোজিয়ারের সেই ফুলদানির ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেছে। দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ইতিমধ্যে ফুলদানির ছবি ও তথ্য মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির কাছে পাঠানো হয়েছে।
কর্মকর্তা জানান, সেখানকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শিল্পকর্মটি মায়ান সভ্যতার। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ সাল থেকে ৮০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মেক্সিকোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তৈরি করা হতে পারে।
ডোজিয়ার বলেন, ‘গত এপ্রিলে তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন, “এটি সত্যিই অনেক, অনেক পুরোনো। আমরা এটি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” আমিও চাই, ফুলদানি তার যথাযথ স্থান পাক।’