টুইটারের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত করলেন ইলন মাস্ক। তিনি টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে দাখিল করা নথিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নথিতে বলাা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর টুইটারের মালিকানা কিনে নেন যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এতে তিনি টুইটারের একমাত্র পরিচালক হয়েছেন।
এর আগে টুইটারের পরিচালক ছিলেন নয়জন। পরিচালনা পর্ষদ থেকে বিদায় নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন টুইটার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর ও সাবেক প্রধান নির্বাহী পরাগ আগারওয়াল।
নানা ঝক্কিঝামেলা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কেনার ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক। তবে এর আগে তিনি টুইটার কেনা নিয়ে পিছুটান দিয়েছিলেন। তা নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ণ আদালতে যায়। সেই মামলার দফারফা হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নিজের প্রোফাইলে ইলন মাস্ক লেখেন ‘চিফ টুইট’। তারপরই টুইটারের শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়কপ্রধান বিজয়া গাড্ডেকে সরিয়ে দেন।
টুইটার কিনে নেওয়ার পরপরই ইলন মাস্ক টুইট করেছিলেন, ‘বার্ড ইজ ফ্রিড।’ অর্থটা এমন ‘যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে…’। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিকে বাক্স্বাধীনতার মুক্তাঙ্গন করার যে লক্ষ্য নিয়েছেন, এটি তার একটি ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এর মধ্যেই নতুন মালিক হিসেবে ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন, টুইটার নিল টিক অর্থাৎ, প্রকৃত টুইটার ব্যবহারকারীর প্রোফাইল যাচাই করার বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখা হবে। টুইটারে ভেরিফায়েড থাকতে ২০ মার্কিন ডলার অর্থ নিতে পারে টুইটার এমন কথাও বিভিন্ন খবরে উঠে এসেছে। বর্তমানে নীল রঙের টিক পেতে কোনো অর্থ খরচ করতে হয় না।
এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মাসের আগেই টুইটারের কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করতে পারেন ইলন মাস্ক। তবে মাস্ক এ তথ্য অস্বীকার করেছেন।