যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল মঙ্গলবার স্বীকার করে নিয়েছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবারের বিতর্কে তিনি নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। বলেছেন, বিতর্ক চলাকালে তিনি প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
বাইডেন জানান, তিনি ক্লান্ত ছিলেন। জুন মাসে আকাশপথে দুটি বিদেশ সফরের ক্লান্তি ভাব (জেট লেগ) এখনো যায়নি তাঁর। আর এ জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়ে তাঁর ‘ঘুম ঘুম’ ভাব ছিল। ভালো করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। দুজনে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন।
এই বিতর্কে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৮১ বছর) প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। ট্রাম্পের বাক্যবাণে প্রথম দিকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।
বাইডেনের এমন নিষ্প্রভ ভূমিকাকে বিশ্লেষকদের অনেকেই ‘বিপর্যয়কর’ বলেছেন। বিতর্কের পর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর দাবিও উঠেছে নিজ দলের ভেতরে-বাইরে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে খারাপ করলেও বসে নেই বাইডেন। নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ম্যাকলিনে প্রচারে গিয়ে বাইডেন বলেন, রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কটি ভালো হয়নি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘এটা আমার জন্য সেরা রাত ছিল না। তবে আপনারা এটা নিশ্চয়ই জানেন, আমি এতটাও স্মার্ট নই।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘বিতর্কের আগে আমি বিশ্বে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রায় ১০০ টাইমজোন ঘুরে এসেছি।’
নিজের সহকর্মীদের নিষেধ শুনেননি মন্তব্য করে বাইডেন বলেন, ‘ফিরে এসে বিতর্কে অংশ নিয়েছি। মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। তবে এটা একটি ব্যাখ্যা।’
গত মাসে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইতালি ও ফ্রান্স সফর করেছেন বাইডেন। ইতালিতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দেশের ভেতরে লস অ্যাঞ্জেলসে দাতাদের সঙ্গে একটি আয়োজনে দেখা গেছে বাইডেনকে। ওই আয়োজনে বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছিলেন।
যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের প্রস্তুতি নিতে ক্যাম্প ডেভিডে ছয় দিন কাটান বাইডেন; তবে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিতর্কে বাইডেনের ভালো না করার বড় কারণ তীব্র শীতের মধ্যে দুই নেতার বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে অসুস্থ থাকার বিষয়ে গতকাল বাইডেন কিছুই বলেননি।