টেসলা ও স্পেস-এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক গতকাল বুধবার কিছু সময়ের জন্য ধনকুবের তালিকায় শীর্ষস্থান হারিয়েছেন। ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ার তালিকায় সম্পদের হিসাবে এ অবস্থান হারান তিনি। খবর এনডিটিভির
বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা জায়ান্ট টেসলার শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। পাশাপাশি অনেকটা বাজি ধরে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন মাস্ক। এরপর তাঁর মোট সম্পদ অনেক কমে যায়। ফলে কিছু সময়ের জন্য ধনকুবের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে যান তিনি।
মাস্ককে সরিয়ে শীর্ষ ধনকুবের হন প্যারিসভিত্তিক বিলাসপণ্যের ব্র্যান্ড লুই ভিটনের মূল কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আর্নল্ট। ওই সময় তাঁর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার।
অবশ্য কিছুক্ষণ পরই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেন মাস্ক। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার।
মাস্ক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থান ধরে রেখেছেন। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে সরিয়ে তিনি শীর্ষে উঠে আসেন।
গত দুই বছরের মধ্যে টেসলার শেয়ারের দাম সবচেয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এতে ২০২২ সালে মাস্কের মোট সম্পদ ইতিমধ্যে ২০ হাজার কোটি ডলার কমে গেছে।
মাস্কের বেশির ভাগ সম্পদ আসে বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোম্পানিটির বৃহত্তম বাজার চীন। কিন্তু দেশটিতে করোনাভাইরাস–সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে চাপে আছে কোম্পানিটি।
গত মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নেন মাস্ক। কোম্পানিটি সামলাতে বেশি সময় দিচ্ছেন তিনি। মাস্ক দায়িত্ব নেওয়ার পর টুইটার ৬০ শতাংশ কর্মী হারিয়েছে। এ ধরনের কোম্পানিতে জড়িয়ে এই ধনকুবের নিজের অবস্থান হালকা করছেন কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা।
টেসলা, টুইটার ও রকেট কোম্পানি স্পেস-এক্স ছাড়াও নিউরালিংকের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মাস্ক। নিউরালিংক স্টার্টআপ মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য অতি-উচ্চ ব্যান্ডউইথের ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস তৈরি করছে।