মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

অন্যদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিন: বাইডেনের প্রতি সাবেক আইনপ্রণেতারা

মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক দুই ডজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা গতকাল শুক্রবার একটি খোলাচিঠি প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে তাঁরা জো বাইডেনের প্রতি প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে অন্যদের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ ঘটনা ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের জন্য আরেকটি আঘাত। গত জুনে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে খারাপ করার পর তিনি ভোটারদের নতুন করে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন যে তিনি প্রেসিডেন্টের দপ্তরের জন্য উপযুক্ত।

২৪ জনের স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে বলা হয়, দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে যেসব প্রতিনিধি বাইডেনকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন, তাঁদের নিষ্কৃতি দেওয়ার মাধ্যমে তিনি দেশকে আরও ভালোভাবে সেবা দিতে পারবেন। নয়তো জাতীয় সম্মেলনে দলের আনুষ্ঠানিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তিনিই চূড়ান্ত হবেন। সাবেক আইনপ্রণেতারা এর পরিবর্তে মনোনয়ন পেতে অন্য প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে চিঠিটি পড়ার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এক বা দুজন প্রার্থী সামনে এগিয়ে আসবেন। ফলে উদ্দীপনা ও আশাবাদ ফিরে আসবে।’

চলতি সপ্তাহে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, তিনি এ লড়াইয়ে থাকার পরিকল্পনা করছেন এবং তিনিই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে থাকছেন।

এদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান ১৯ আইনপ্রণেতাও জো বাইডেনকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পেছনে প্রধান কারণ, তাঁর স্বাস্থ্য ও মানসিক দুর্বলতা। গত ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মুখোমুখি বিতর্কের পরই প্রার্থী হিসেবে বাইডেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে।

চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্টের সততা ও লক্ষ্য এখনো অটুট আছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণা এবং নতুন করে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের জন্য জো বাইডেনের মনোবল ও শক্তি কমে গেছে।

শুধু প্রেসিডেন্টের পদ নিয়েই নয়, বরং নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে সব আসন হারানোর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে চিঠিতে।

এতে সাবেক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বলেন, ‘যদি সবচেয়ে বাজে ঘটনাটাই ঘটে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটদের অন্তত একটি কক্ষে হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার, যাতে আমরা স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি।’