মার্কিন ধনকুবের টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক অক্টোবরের প্রথমার্ধে আমেরিকা পিএসি বা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিকে ৪ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছেন। এই গ্রুপটি রিপাবিলকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা এক নথিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—এই তিন মাসে মাস্ক আমেরিকা পিএসি গ্রুপকে ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। এরপরই নতুন করে অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দেওয়ার খবর প্রকাশ করা হলো।
যেসব অঙ্গরাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, আমেরিকা পিএসি সেসব অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের ট্রাম্পের পক্ষে আনতে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব রাজ্যে অক্টোবরের প্রথমার্ধে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে পিএসি।
রিপাবলিকান সমর্থকগোষ্ঠীর বাইরে ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপকভাবে নির্বাচনী প্রচারে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’–এর মালিক ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত আমেরিকা পিএসিকে বেশ নির্ভরযোগ্য গ্রুপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কমলার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই নির্বাচনে গ্রুপটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাদাভাবে ট্রাম্পের প্রচারশিবির চলতি মাসের প্রথমার্ধে বিজ্ঞাপনে ৮ কোটি ৮০ ডলার ব্যয় করেছে। চূড়ান্ত প্রচারের জন্য তাঁদের এখনো ৩ কোটি ৬০ লাখ রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের প্রচারশিবির নির্বাচনী তহবিল জোগাড় করেছে ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
কমলা হ্যারিসের প্রচারশিবির চলতি মাসের প্রথমার্ধের নির্বাচনী তহবিলের হিসাব এখনো নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়নি। তবে ইতিপূর্বে দেওয়া তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে ট্রাম্পের চেয়ে তারা অনেক বেশি অর্থ খরচ করেছে।
রক্ষণশীলদের আরেকটি গ্রুপ সেন্টিনেল অ্যাকশন ফান্ড (এসএএফ) ইলন মাস্ক থেকে ২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিল পাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে।
আমেরিকা পিএসিকে ইলন মাস্কের বিপুল পরিমাণ অনুদান তাঁকে রিপাবিলকান ক্লাবের বিশাল দাতার তালিকায় তুলে এনেছে। এই তালিকায় ব্যাংকের মালিক টিমোথি মেলন ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ী মিরিয়াম অ্যাডেলসনের মতো ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।
ট্রাম্পকে শক্ত সমর্থনের অংশ হিসেবে আমেরিকা পিএসি যুক্তরাষ্ট্রের দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিদিন ১০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করে আসছে।
বিচার বিভাগ পিএসিকে পাঠানো এক চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এভাবে অর্থ বিলানো মার্কিন ফেডারেল আইনের বিরোধী।