চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁকে রাখা হয়েছিল একটি কারাগারে। ১৮৯৫ সালে কারাগারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর পেরিয়ে গেছে ১২৮টি বছর। অবশেষে সমাহিত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর রিডিং। গত শনিবার সেই শহরে জেমস মারফি নামের ওই ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়।
জানা গেছে, কারাগারে মৃত্যুর পর জেমস মারফির মরদেহ নিতে আসেননি তাঁর পরিবার বা পরিচিতজনদের কেউ। এরপর ঘটনাক্রমে তাঁর মরদেহ মমি করা হয়। মমিতে পরিণত হওয়া মারফি এত দিন ‘স্টোনম্যান উইলি’ নামে পরিচিত ছিলেন।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন মারফি। তবে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে তাঁর প্রকৃত পরিচয় জানতে পারে। শেষমেশ শনিবার সমাহিত করার সময় জানানো হয় যে তাঁর প্রকৃত নাম জেমস মারফি।
মারফির সঙ্গে কারাগারের একই কক্ষে ছিলেন, এমন একজন জানান, পকেট মারতে গিয়ে মারফি ধরা পড়েছিলেন। পুলিশের কাছে বলেছিলেন, তাঁর নাম জেমস পেন। তিনি চাননি পকেট মারতে গিয়ে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি পরিবার জানুক। কারণ, এটা জানাজানি হলে পরিবারের সম্মানহানি ঘটবে।
এদিকে মৃত্যুর পর মারফির মরদেহ মমি করে রাখা হয় স্থানীয় একটি ‘ফিউনারেল হোমে’ (অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় এমন স্থান)। একটি কাঠের বাক্সে এত দিন সেখানেই ছিল মমিটি। তাঁকে সমাহিত করার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মারফির মমি যে সমাহিত করা হবে, কিছুদিন আগেই তা জানানো হয়েছিল। এটা জানাজানি হওয়ার পর অনেকে তাঁকে শেষবিদায় জানাতে আসেন। জমে যায় ফিউনারেল হোমে ভিড়। কয়েক দিন ধরে সারিবদ্ধ হয়ে মারফির মমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে মমির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ব্যতিক্রমী এ ঘটনার সাক্ষী হওয়ার বিষয়টি ফ্রেমবন্দী করে রাখেন।