মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়ে অ্যাশলি বাইডেনের ব্যক্তিগত ডায়েরি চুরি করে তা ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন দুই ব্যক্তি।
২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে জো বাইডেনের নির্বাচনী লড়াই চলার সময় ডায়েরিটি চুরি করেছিলেন তাঁরা। আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের জমা দেওয়া নথির বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ইতিমধ্যে নিজেদের দোষ স্বীকার করা ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে বিচার বিভাগ। তাঁরা হলেন আইমি হ্যারিস ও রবার্ট কুরলান্ডার। আদালতে জমা দেওয়া নথিপত্রে ভুক্তভোগীকে ‘প্রার্থী-১’-এর মেয়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রার্থী-১ বলতে বাইডেনকেই বোঝানো হয়ে থাকে।
আদালতে দায়ের করা নথি অনুযায়ী, এই দুই ব্যক্তি প্রথমে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের কাছে ডায়েরিটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। সেখানে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর একটি রক্ষণশীল ধারার অধিকার আন্দোলনের সংগঠনের কাছে ডায়েরিটি নিয়ে যাওয়া হয়।
সংগঠনটি একসময় প্রজেক্ট ভেরিটাস নামে পরিচিত ছিল। ওই সংগঠন ডায়েরিটির জন্য দুই ব্যক্তির প্রত্যেককে ২০ হাজার ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। শুধু তা-ই নয়, ৪১ বছর বয়সী অ্যাশলি বাইডেনের পারিবারিক ছবির ডিজিটাল ফাইলের মতো আরও কিছু জিনিসপত্র চুরির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছিল প্রজেক্ট ভেরিটাস।
প্রজেক্ট ভেরিটাস হলো রিপাবলিকানপন্থী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ আছে এর বিরুদ্ধে। রাজনৈতিকভাবে এসব সংগঠনকে হেয় করতে এমন তৎপরতা চালাত প্রজেক্ট ভেরিটাস।
সংস্থাটি কখনো ওই ডায়েরির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেনি। তবে ন্যাশনাল ফাইল নামের একটি রক্ষণশীল ওয়েবসাইট ডায়েরির বিষয়বস্তু প্রকাশ করে ফেলে। তারা বলছে, প্রজেক্ট ভেরিটাসেরই কারও কাছ থেকে তারা ডায়েরিটি পেয়েছে। এরপরই তদন্ত শুরু করে এফবিআই।
দোষী সাব্যস্ত ওই দুই ব্যক্তির প্রত্যেকের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রজেক্ট ভেরিটাস বলেছে, সংবাদ সংগ্রহের কাজ নৈতিক ও বৈধ।
বাইডেনের ছেলে হান্টারের ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপে সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত একটি কম্পিউটার মেরামতের দোকানে পাওয়া যাওয়ার ঘটনা নিয়েও এফবিআই তদন্ত করছে। রক্ষণশীল গোষ্ঠী ও মূল ধারার সংবাদমাধ্যমকে তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আগে ইউক্রেন নিয়ে হান্টার ও তাঁর বাবার মধ্যকার একটি আলাপচারিতা প্রকাশ করেছিল নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
তখন থেকে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং অন্যরাও কম্পিউটারের কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ই-মেইল রয়েছে।