ইউনিসেফের মানবিক পণ্যাগার। কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
ইউনিসেফের মানবিক পণ্যাগার। কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

চার মাসেই বিপজ্জনক ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে ৩০ হাজার শিশু–কিশোর অভিবাসী

কলাম্বিয়া ও পানামার মধ্যে অবস্থিত দুর্গম জলাভূমি এবং পার্বত্য বনাঞ্চল ‘ডারিয়েন গ্যাপ’ পাড়ি দিয়ে অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা চালানো শিশু–কিশোরের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। চলতি বছর তাদের এ সংখ্যা ৩৪ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৬০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।

ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ডারিয়েন গ্যাপ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে পাড়ি জমানো কিশোর–তরুণদের এ বিপুল সংখ্যা ‘দীর্ঘমেয়াদি এক সংকট’ তুলে ধরেছে। সংস্থাটি বলেছে, বিপৎসংকুল এই পথ দিয়ে চলতি বছর টানা পঞ্চমবারের মতো রেকর্ড সংখ্যায় কম বয়সীদের অভিবাসনপ্রত্যাশী হওয়ার বিষয়টি বর্তমান তথ্য-উপাত্তে লক্ষ করা গেছে।

ডারিয়েন গ্যাপ শিশুদের চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। এ কঠিন ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক শিশু মারা গেছে। এমনকি নারীরা এ পথে চলতে গিয়ে সন্তান প্রসব করেছেন। এতে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে এসেছে নতুন জীবন।
টেড চাইবান, ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক

পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এ বছরের প্রথম চার মাসে ওই পথ দিয়ে পাড়ি জমিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি শিশু–কিশোর অভিবাসী। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। তাদের মধ্যে ২ হাজার জনের সঙ্গে কোনো সঙ্গী ছিল না। অর্থাৎ তারা ছিল তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।

এ বছরের প্রথম চার মাসে ওই পথ দিয়ে পাড়ি জমিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি শিশু–কিশোর অভিবাসী। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। তাদের মধ্যে ২ হাজার জনের সঙ্গে কোনো সঙ্গী ছিল না। অর্থাৎ তারা ছিল তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।

ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক টেড চাইবানকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডারিয়েন গ্যাপ শিশুদের চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। এ কঠিন ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক শিশু মারা গেছে। এমনকি নারীরা এ পথে চলতে গিয়ে সন্তান প্রসব করেছেন। এতে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পৃথিবীতে এসেছে নতুন জীবন।

‘ডারিয়েন গ্যাপ’ একটি ভয়ংকর জঙ্গল এলাকা

দুর্গম এই জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথচলা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এক–পঞ্চমাংশ শিশু বলেও জানান টেড চাইবান।

গত বছরও রেকর্ড ভাঙা ৫ লাখ ২০ হাজার অভিবাসী ডারিয়েন গ্যাপে যাত্রা করেছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পানামার ভোটাররা হোসে রাউল মুলিনোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। আগামী জুলাইয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। হোসে রাউল এ অভিবাসন পথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।