মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিশিগানের ডেট্রয়েটের রেনেসাঁ হাইস্কুলে নির্বাচনী প্রচার সভায়। ১২ জুলাই ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মিশিগানের ডেট্রয়েটের রেনেসাঁ হাইস্কুলে নির্বাচনী প্রচার সভায়। ১২ জুলাই ২০২৪

আমিই প্রার্থী, আমি কোথাও যাচ্ছি না : বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক নির্বাচনী প্রচার সভায় বলেছেন, ‘আমিই (ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট) প্রার্থী। আমি কোথাও যাচ্ছি না।’ এ সময় উপস্থিত সমর্থকদের ‘হাল ছেড়ো না’ বলে তাঁকে সমর্থন দিতে দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েটের এক নির্বাচনী প্রচার সভায় বাইডেন এসব কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ‘রাজনীতির প্রতি বিনোদন বা রিয়্যালিটি টিভি শোর মতো আচরণ বন্ধ করার এটাই উপযুক্ত সময়।’

গত ২৭ জুন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক-বিপর্যয়ের পর থেকে নিজ দল ও দাতাদের থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর চাপ বাড়ছে। এ পর্যন্ত নিজ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্তত ১৯ জন আইনপ্রণেতা বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।

কিন্তু চাপ সত্ত্বেও আগামী নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর বাইডেন। এ জন্য তিনি নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার ডেট্রয়েটে প্রচার সভায় অংশ নেওয়ার আগে বাইডেন নিজ দলের বেশ কিছু শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁদের থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন।

আগের দিন বৃহস্পতিবার বাইডেন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হাকিম জেফরিসের সঙ্গের বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে এক চিঠিতে তিনি বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছেন।

শুক্রবার সকালের দিকে নিজ দলের প্রতিনিধি পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য জেমস ক্লাইবার্ন ও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজমও বাইডেন সমর্থন দিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্সের সভাপতি শন ফেইনও বাইডেন সমর্থন দিয়েছেন। এর আগে তিনি বাইডেনের বিজয়ের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ এক ঘণ্টার একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন। সেখানে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জায়গায় ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জায়গায় পুতিনের নাম বলে আরও চাপে পড়েন। এখন মিশিগানের প্রচার সভার মাধ্যমে সেসব চাপ উত্তরণের চেষ্টা করছেন ৮১ বছর বয়সী এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।