চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাবেক সিনেটর ডেভিড পারডুকে বেছে নিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার এই মনোনয়নের কথা ঘোষণা দেন। আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি তাঁর প্রশাসন সাজানোর কাজ প্রায় সেরে ফেলেছেন।
সাবেক রাজনীতিক ডেভিডের চীনসহ এশিয়া অঞ্চলে ব্যবসার অভিজ্ঞতা আছে। সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে থেকেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে গভীর অবিশ্বাস আছে। দুই দেশের মধ্যে আছে বাণিজ্য উত্তেজনাও। এই প্রেক্ষাপটে ডেভিডকে চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমার কৌশল বাস্তবায়নে এবং চীনের নেতাদের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ কাজের সম্পর্ক স্থাপনে তিনি (ডেভিড) সহায়ক হবেন।’
২০২৪ সালের নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করবেন।
এ ছাড়াও ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, বেইজিং যদি উচ্চ আসক্তির মাদকদ্রব্য ফেন্টানাইলের পাচার বন্ধে আরও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তিনি চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সদস্য ডেভিড জর্জিয়া থেকে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৫-২০২১ সাল পর্যন্ত সিনেটর ছিলেন। ব্যবসায়িক নির্বাহী হিসেবে ৪০ বছরের কর্মজীবন তাঁর।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সাবেক রাজনীতিকদের বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত করে পাঠানোর একটা চর্চা লক্ষ করা যাচ্ছিল। কিন্তু জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউসে এসে ২০২১ সালে অভিজ্ঞ পেশাদার কূটনীতিক নিকোলাস বার্নসকে বেইজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত করেন। এখন ট্রাম্প এই পদে সাবেক রাজনীতিককে মনোনয়ন দিলেন।
ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য যাঁদের বেছে নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কট্টর চীনবিরোধী লোকজন আছেন। যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত সিনেটর মার্কো রুবিও।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে আইওয়ার সাবেক গভর্নর টেরি ব্রানস্ট্যাডকে চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত করেছিলেন।