যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে যাবে, তা চূড়ান্তভাবে এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে দুই দলের কেউই এবারের ভোটে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তবে ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটা কঠিন একটি রাত (ফলাফল ঘোষণার রাত)। খবর বিবিসি ও আল–জাজিরার
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে বাইডেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমসহ অনেকেই বলেছিল, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দেশজুড়ে রিপাবলিকানদের “লাল ঢেউ” বয়ে যাবে। তবে তেমনটা হয়নি।’
তবে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘নির্বাচনে যেকোনো আসন হারানোই দুঃখজনক। এবারের ভোটে আমাদের দলের অনেক ভালো ভালো প্রার্থী জয় পাননি। ডেমোক্র্যাটদের জন্য এটা কঠিন একটি রাত। তবে আমি পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট।’
এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ‘গণতন্ত্রের জন্য সুখকর’ বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গণতন্ত্র বড় ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়েছে। তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে ছিল। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি শুভদিন।’
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৫১টি আসন। সবশেষ ফলাফলে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে এসেছে যথাক্রমে ৪৮ ও ৪৯টি আসন। অর্থাৎ আর দুটি আসনে জয় পেলে সিনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি।
অন্যদিকে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার পথে রয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। তবে কত বেশি আসনে দলটি জয়ী হবে, তা এখন দেখার বিষয়। নিম্নকক্ষের ৪৩৫ আসনের মধ্যে ২০৩টিতে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। ডেমোক্রেটিক প্রার্থীরা ১৮৭টি আসনে জয় পেয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মোট ২১৮টি আসনে জয় প্রয়োজন।