যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া এক বক্তৃতায় এমনটা জানান তিনি। তবে যে আদর্শ তাঁর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে শক্তি জুগিয়েছে, সে আদর্শের জন্য লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও করছেন কমলা।
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কমলা ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর সমর্থকদের বেশির ভাগের চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত। এ সময় ধরা গলায় তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করুন।’ তিনি নারী অধিকার ও বন্দুক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেছি, তবে লড়াইয়ে হার মানব না।’
কমলা আরও বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসির হিসাব অনুসারে, নির্বাচন শেষে এখন পর্যন্ত ২৯৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, আর কমলা পেয়েছেন ২২৩টি। ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজের ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কমলা হ্যারিসের রানিংমেট টিম ওয়ালজও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মূলনীতি হলো, আমরা নির্বাচনে হেরে গেলে সে ফলাফল মেনে নিই। এই মূলনীতি একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রকে আলাদা করে। আর কেউ যদি জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে চায়, তবে সেটির প্রতি তাঁকে অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল থাকবে হবে।’