প্যারাসুটের সাহায্যে পৃথিবীতে অবতরণ করে স্টারলাইনারের ক্যাপসুল
প্যারাসুটের সাহায্যে পৃথিবীতে অবতরণ করে স্টারলাইনারের ক্যাপসুল

নভোচারী সুনিতা-ব্যারিকে ছাড়াই পৃথিবীতে ফিরল বোয়িংয়ের মহাকাশযান

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীতে ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের মহাকাশযান স্টারলাইনার, তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি ই উইলমোরকে ছাড়াই ফিরতে হয়েছে মহাকাশযানটিকে।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবরে প্যারাসুট ও বাতাসের বেগের সহায়তায় অবতরণ করে স্টারলাইনার। এর ছয় ঘণ্টা আগে সেটি আইএসএস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।

বেশ কয়েক বছর বিলম্বের পর গত জুনে সুনিতা ও ব্যারিকে নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল স্টারলাইনার, তবে এটি ছিল মূলত পরীক্ষামূলক যাত্রা। এই যাত্রা সফল হলে মহাকাশযানটিকে নভোচারী আনা-নেওয়ার কাজের জন্য অনুমোদন দেওয়া হতো।

তবে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরুর পর স্টারলাইনের ইঞ্জিনের থ্রাস্টারে ত্রুটি দেখা দেয়। ছিদ্র দিয়ে জ্বালানি হিলিয়ামও বের হতে থাকে। এতে বোয়িংয়ের পরিকল্পনা বিফল হয়। পরে মার্কিন মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, সুনিতা ও ব্যারিকে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ মহাকাশযানে পৃথিবীতে আনা হবে। তবে এ জন্য ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।

স্পেসএক্স মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান। শত বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তুলনায় স্পেনএক্সকে তরুণই বলা চলে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ে এরই মধ্যে বেশ এগিয়ে গেছে স্পেসএক্স। ২০২০ সাল থেকে কয়েক ডজন নভোচারীকে মহাকাশে নিয়ে গেছে তাদের তৈরি যান।

এর আগেও বেশ কয়েকবার বাধার মুখে পড়েছে বোয়িংয়ের স্টারলাইনার। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে নভোচারীদের ছাড়াই মহাকাশে যাত্রা করে সেটি। তবে সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে আইএসএসে যুক্ত হতে পারেনি। ২০২১ সালে যাত্রার আগে আবার যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ে সেটি। ২০২২ সালে স্টারলাইনার আইএসএসে পৌঁছাতে পারলেও কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছিল।