ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে পৌঁছানোর আগে তাঁর বক্তব্য দেওয়ার স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করেছিল সেখানকার কর্তৃপক্ষ। হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে—এমন একজন লেখকের জন্য কড়া নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে মনে করেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। খবর রয়টার্সের।
লেখকদের সংস্থা পেন আমেরিকার সাহিত্যবিষয়ক কার্যক্রমের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ক্লারিসে রোসাজ শারিফ বলেন, চার বছর ধরে সালমান রুশদি অনেক বেশি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতেন।
বেশি নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করতে কিছুটা অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন সালমান রুশদি। লুকিয়ে থাকার সময় নিয়ে লেখা স্মৃতিকথায় তিনি নিউ জার্সি ও ডেনভার অঙ্গরাজ্যে বিমানবন্দরে উচ্চস্তরের নিরাপত্তা নিয়ে নিজের অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন।
শিটোকোয়া ইনস্টিটিউশনে প্রতি গ্রীষ্মেই লেখক ও শিল্পীরা সমবেত হন। সেখানে কাউকেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় না। দর্শকেরা বলছেন, এই ইনস্টিটিউশনে ঢোকার সময় কোনো তল্লাশির ব্যবস্থা নেই। মেটাল ডিটেক্টর অথবা অন্য কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থাও থাকে না।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বেলা ১১টার কিছু আগে সালমান রুশদি শিল্প–সাহিত্যের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় অংশগ্রহণকারীরা অবাক হয়ে ২৪ বছরের এক যুবককে মঞ্চের দিকে ছুটে যেতে দেখেন। তিনি রুশদির গলা ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করেন। পুলিশ বলছে, এই হামলার কোনো উদ্দেশ্য ছিল বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। হামলার পর রুশদির অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি ভেন্টিলেশনে আছেন।
শিটোকোয়া ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট মিশেল হিল যুক্তরাষ্ট্রে গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।