ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ৪০ হাজারের বেশি ঘণ্টার ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলা হয়
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলার সময়ে নজরদারি ক্যামেরায় ধারণ করা ৪০ হাজারের বেশি ঘণ্টার ভিডিও প্রকাশ করা হবে। গতকাল শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নতুন রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন এ ঘোষণা দিয়েছেন।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে তাঁর সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে সহিংস হামলা চালান। এতে পুলিশসহ কয়েকজন নিহত হন।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে মাইক জনসন লিখেছেন, ‘আজ আমি মার্কিন জনগণকে আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখছি এবং ৬ জানুয়ারির ঘটনার সব কটি ভিডিও মার্কিন জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।’
লুইজিয়ানাভিত্তিক এ রিপাবলিকান নেতা আরও লিখেছেন, ‘সত্য আর স্বচ্ছতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ’।

ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার ভিডিওগুলো সরকারি একটি ওয়েবসাইটে ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জনসনের দাবি, এসব ভিডিও প্রকাশের মধ্য দিয়ে সবাই দেখতে পাবে, সেদিন আসলে কী ঘটেছিল। এর জন্য তাদের গুটিকয় সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্যের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে না।

হাজার হাজার ঘণ্টার এসব নজরদারি ফুটেজগুলো ইতিমধ্যে কংগ্রেসের একটি কমিটি পর্যালোচনা করেছে। ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনাটি তদন্ত করছে এ কমিটি।

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে আবারও প্রার্থিতাপ্রত্যাশী ট্রাম্প। মাইক জনসন ইতিমধ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন।
ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পকে বিদ্রোহ ও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত করার জন্য প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচক কমিটি সুপারিশ করেছে।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আগামী মার্চে ট্রাম্পকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইতিমধ্যে ১২০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জনসন বলেছেন, কোনো মানুষকে যেন প্রতিশোধমূলকভাবে লক্ষ্যবস্তু না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে ভিডিওতে তাদের মুখগুলো ঝাপসা করে দেওয়া হবে। ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তাবিষয়ক স্পর্শকাতর ভিডিওগুলো অপ্রকাশিত থাকবে।