মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। এবিসির আয়োজনে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে। এর আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে থাকলেন কমলা। তবে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে এখনো দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। দ্য গার্ডিয়ান-এর তথ্য অনুযায়ী, ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় গড়ে কমলার সমর্থন ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ আর ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত জুলাইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে কমলা প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে ঘিরে সমর্থন ও উৎসাহ বেড়েছে। বিতর্কের আগে ট্রাম্পের থেকে জনসমর্থনে এগিয়ে থেকে আরও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারবেন কমলা। অন্যদিকে ট্রাম্প আশা করছেন, এ বিতর্ক থেকে তাঁর প্রচার শিবিরে আরও গতি বাড়বে। কিন্তু দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা এত বেশি যে রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকারেরা একে ছুরির লড়াই বলছেন। একই সঙ্গে নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের ভৌগোলিক হিসাব-নিকাশও চলছে। এর মধ্যেই শুক্রবার থেকে নর্থ ক্যারোলাইনার ভোটারদের কাছে প্রেসিডেন্টে নির্বাচনের ব্যালট মেইল করা শুরু করেছে।
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শেষ ছয় সপ্তাহের প্রচার লড়াইয়ে নেমেছেন কমলা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়ার মতো কয়েকটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বিতর্কের আগে জোর প্রচার শুরু করেছেন কমলা ও ট্রাম্প।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডিক চেনি আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নিজ দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের জন্য হুমকি উল্লেখ করে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডিক চেনি। ওই সময় তাঁকে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রার্থিতার বিরোধিতা করে ডিক চেনি বলেন, রিপাবলিকান পার্টির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো এত বড় হুমকি কেউ ছিলেন না।