ইসরায়েলের কাছে আরও ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এমন সময় এই অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হলো, যখন বাইডেন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে।
ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে বাইডেনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেওয়ার পরদিন গতকাল বুধবার এই অস্ত্র বিক্রি চুক্তির খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যেও একই ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে নতুন করে চেষ্টা চালানোরও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। যদিও বাইডেন অনেকবার এ ধরনের অঙ্গীকার করেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন।
অস্ত্রের এই প্যাকেজ চূড়ান্ত করা নিয়ে কয়েক মাস ধরে কাজ চলছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের কমিটি এটি যাচাই-বাছাই করে এবং আরও বিস্তৃত পরিসরে পর্যালোচনার জন্য অক্টোবর মাসে তা জমা দেয়। বাইডেন প্রশাসন প্যাকেজটির প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বলে প্রথমে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়। পরে তাদের ওই প্রতিবেদনের সত্যতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ এই অস্ত্রের চালানোর মধ্যে রয়েছে কয়েক শ বোমা ও সাধারণ বোমাকে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে হামলার উপযোগী করে তোলার কয়েক হাজার সরঞ্জাম। দুটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেই এ কথা বলা হয়েছে। তবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
অস্ত্র বিক্রির এই সময়টি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিশ্র অবস্থান তুলে ধরেছে।দেশটি এক দিনে যুদ্ধবিরতির আলোচনা এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছে, অন্যদিকে ইসরায়েলের কাছে কয়েক শ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিন ও লেবাননে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।