যুক্তরাষ্ট্রের সাত অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো, বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২৩-এ দাঁড়িয়েছে। সাত অঙ্গরাজ্যের প্রায় তিন লাখ বাসিন্দা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। গতকাল সোমবার রাত নাগাদ এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদেরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতেও বজ্রঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি বন্যাও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ (এনডব্লিউএস) বলেছে, আজ মঙ্গলবার সকালে নিউইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ডসহ পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিছু এলাকায় প্রচণ্ড গরম অব্যাহত আছে।
গত রোববার ঝড়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যে ৬৬০টির বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। টর্নেডো ও প্রচণ্ড গতির বাতাসে বিভিন্ন ভবনের অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে, কিছু গাড়ি উল্টে গেছে এবং বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রোববার ইন্ডিয়ানাপোলিস ৫০০ নামের কার রেস শুরু হতে চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে। বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিকে কেন্দ্র করে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার দর্শককে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে কেন্দ্র করে আরকানসাসে আটজন, টেক্সাসে সাতজন, ওকলাহোমায় দুজন ও কেন্টাকিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গতকাল সকালে আলাবামা অঙ্গরাজ্যে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ৭৯ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয়ভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ঝড়কে কেন্দ্র করে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বাশের অঙ্গরাজ্যটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
কলোরাডোতে বজ্রপাতে এক খামারির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ৩৪টি গরুও মারা গেছে।
টেক্সাসে ঘূর্ণিঝড়ে যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই কুক কাউন্টির ভ্যালি ভিউর বাসিন্দা। এর মধ্যে দুই ও পাঁচ বছর বয়সী দুটি শিশুও আছে।
মে মাসের শুরুর দিকে আইওয়ার একটি মফস্সল শহরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।