ন্যাটো ইউক্রেনকে এ জোটের সদস্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যদেশগুলো ইউক্রেনকে এ জোটের সদস্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত বুধবার ওয়াশিংটনে ন্যাটোর ৭৫তম সম্মেলনে ৩২ দেশের এক ঘোষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
ন্যাটোর ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন বিষয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে আগামী বছরের মধ্যে ন্যূনতম ৪৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে মিত্ররা। তবে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি যে আর্থিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছিলেন, তা পূরণ হয়নি। ঘোষণায় বলা হয়, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে জোটের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি বিষয়ে রাশিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকির নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র রাখার ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, মিনস্ক ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ন্যাটোর ঘোষণায় রাশিয়ার মিত্র হিসেবে চীনের বিষয়েও কড়া ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। ন্যাটোর পক্ষ থেকে চীনকে ইউক্রেন যুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাশিয়াকে সক্ষমকারী শক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বেইজিং পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে চলেছে। রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় চীনকে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সরঞ্জাম সহায়তা বন্ধ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে অস্ত্র সহযোগিতা ও ইন্ধন জোগানোর জন্য ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে চীনের মহাকাশ সক্ষমতা, পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি বেইজিংকে আলোচনার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিবৃতিতে ইন্দো-প্যাসিফিকের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেক্ষাপটে ন্যাটো ও ইইউর মধ্যে সহযোগিতা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ন্যাটো জোট ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষায় কাজ করবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।